ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে শোক শক্তিতে রূপান্তর করতে হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৯
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে শোক শক্তিতে রূপান্তর করতে হবে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ও অন্যরা

ঢাকা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে আমাদের বুকে ধারণ করে শোককে শক্তিতে রূপান্তর করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।

জাতির পিতার স্বপ্ন ক্ষুদামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত অসাম্প্রদায়িক স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে আমাদের সবার একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

রোববার (১৮ আগস্ট) সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুল হান্নান, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আনিস মাহমুদ, আতাউর রহমান ও সিরাজ উদ্দিন এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. হযরত আলী।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল যার নেতৃত্বে ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি তার সারাজীবন আমাদের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে উৎসর্গ করেছেন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের দায়িত্ব নেওয়ার সময় এদেশ সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত ছিল। এমনকি ঐ সময় বিদেশি অনেকেই বাংলাদেশকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে বলতো এদেশ টিকবে না। সেই দেশ এখন আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আমাদের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বে আঘাত এসেছিল। জাতি হিসেবে আমাদের উপর এ ঘটনা একটি কলঙ্ক, যা কখনো মোচন হবে না। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে যেভাবে একটি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তা থমকে দাঁড়ায় ১৯৭৫ সালে। তিনি যে স্বপ্ন দেখে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন তা পূরণ করতে তথা দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর ব্রত নিয়ে তার কন্যা ১৯৮১ সালে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা ১৯৯৬ সালে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পান, এর পরের পাঁচ বছর ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি স্বর্ণযুগ।

মন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে চলছে। এ তিন মেয়াদে বাংলাদেশের যে আমূল পরিবর্তন হয়েছে তা অবিশ্বাস্য। সব পর্যায়ে মৌলিক চাহিদা পূরণ করে সফলতা অর্জন করার সঙ্গে সঙ্গে, সামগ্রিক অর্থনীতিতে উন্নয়নের ধারা বজায় রাখার জন্য বিশ্বে বাংলাদেশ আজ একটি রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। স্থিতিশীল সরকার থাকার ফলে বাংলাদেশ এরইমধ্যে ৭.৯ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে (এডিবি রিপোর্ট)।

ভূমী মন্ত্রণালয়ের গণমুখী কাজের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে মন্ত্রী গুচ্ছগ্রাম ও ভূমিহীনদের জমি দেওয়ার বিষয়গুলো উল্লেখ করেন।

ভূমি মন্ত্রণালয়ে কর্মরতদের প্রতি দুর্নীতিমুক্ত জনসেবা দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। মন্ত্রী মনে করেন দুর্নীতির কারণে আমাদের প্রবৃদ্ধি আমাদের প্রাপ্য থেকে অনেক কম হচ্ছে। দুর্নীতিমুক্ত জনসেবা দেওয়া দেশকে ভালোবাসার নামান্তর।

আলোচনা অনুষ্ঠানের সভাপতি ভূমি সচিব মো. মাক্‌ছুদুর রহমান পাটওয়ারী তার বক্তব্যে বলেন, সরকারি কর্মচারী হিসেবে সেবা করাই আমাদের ধর্ম। স্বাধীনতার চেতনা ও জাতির পিতার চেতনা, এটা কেবল আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে থাকলে হবে না। সারা বছর আমাদের কাজের মধ্যে তা প্রমাণ করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৯ 
জিসিজি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।