ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আলমডাঙ্গায় বাবা-মাকে বেঁধে রেখে মেয়েকে গণধর্ষণ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৯
আলমডাঙ্গায় বাবা-মাকে বেঁধে রেখে মেয়েকে গণধর্ষণ

চুয়াডাঙ্গা: ধর্ষণচেষ্টার মামলা তুলে না নেওয়ায় চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার নতিডাঙ্গায়  মা-বাবাকে মারধর করে বেঁধে রেখে মেয়েকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে ওই কিশোরীকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে শনিবার (১৭ আগস্ট) দিনগত রাতে ওই মেয়েটিকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়।

এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা আলমডাঙ্গা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।

মামলায় আসামি হলেন, নতিডাঙ্গা গ্রামের জয়নালের ছেলে লাল্টু (৩৫), শরীফুল ইসলাম (৪০) ও মিলনের ছেলে রাজু (৩০)। ইতোমধ্যে মামলার প্রধান আসামি লাল্টুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নতিডাঙ্গায় ওই মেয়েটিকে গত একমাস আগে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় নির্যাতিতা মেয়েটির মা বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা আদালতে একটি ধর্ষণচেষ্টা মামলা দায়ের করেন।

মেয়েটির মায়ের অভিযোগ, মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রায়ই নানাভাবে হুমকি দিতেন আসামিরা। গত তিনদিন আগেও হুমকি দিয়ে বলা হয় মামলা তুলে না নিলে তোর মেয়েকে আবারও ধর্ষণ করা হবে।

মেয়েটির বাবা জানান, রোববার আদালতে ওই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ছিল। শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে লাল্টু, রাজু ও শরিফুল লাঠিসোটা নিয়ে আমার ঘরে প্রবেশ করে আমাদের মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে আমাদের দু’জনকে হাত-পা বেঁধে আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তাকে গ্রামের মাথাভাঙা নদীর তীরে একটি শ্মশান ঘাটের কাছে বাঁশ বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় রোববার ভোরে মেয়েকে উদ্ধার করি।

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান মুন্সি বাংলানিউজকে বলেন, গণধর্ষণের বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর দ্রুত মেয়েটিকে উদ্ধার করে মেডিক্যালের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠাই। একইসঙ্গে এ ঘটনায় মেয়েটির বাবার মামলা দায়ের করার পর আমরা অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি লাল্টুকে গ্রেফতার করি। অন্য আসামিদেরও গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৯
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।