মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই শিক্ষার্থীকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে শরণখোলা থানা পুলিশ। এর আগে সোমবার (১৯ আগস্ট) রাতে নির্যাতিত ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ইলিয়াস হোসেন (৪৫) নামে ওই সুপারের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
ইলিয়াস হোসেন শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা রাফেজিয়া ইবতেদায়ী মাদ্রাসার সুপার এবং একই উপজেলার পূর্ব রাজাপুর গ্রামের গফফার জোমাদ্দারের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ৮ আগস্ট মাদ্রাসার লাইব্রেরিতে নিয়ে ৫ম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে ইলিয়াস হোসেন। এসময় বিষয়টি মা-বাবাকে না জানানোর জন্য শিক্ষার্থীকে ভয় দেখায়। পরে শিশুটির রক্তক্ষরণ শুরু হয়। বিষয়টি জানতে পেরে ওই সুপার মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছে বলে তার বাবা-মাকে জানায়। শিক্ষার্থীকে সুস্থ করতে নিজেই ঝাঁড়ফুক ও পানি পড়া দেয় ওই সুপার। কিন্তু তাতেও সুস্থ না হওয়ায় সুপারের পরামর্শে মোরেলগঞ্জ উপজেলার একটি ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে শিশুটির বাবা-মা। সিঁড়ি থেকে পড়ে যাওয়ার আঘাতের কারণে রক্তক্ষরণ নয়, অন্য কারণ থাকতে পারে বলে চিকিৎসকরা পরিবারকে পরামর্শ দেয়। এর পরেই শিশুটি তার বাবা-মাকে বিষয়টি জানায়। বিষয়টি জানাজানি হলে, সুপার ওই মেয়ের বাবা-মায়ের হাত-পা ধরে ক্ষমা চান। পরে তিনি গা ঢাকা দেন।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার সরকার বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা মামলা দায়ের করেছেন। আমরা শিক্ষার্থীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। অভিযুক্ত সুপার ইলিয়াস হোসেনকে আটক করার জন্য পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৯
আরএ