বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে তিনি এ কথা জানান।
আবুল কালাম জানান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারসহ সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে সরকারের।
তিনি বলেন, প্রত্যাবাসন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য ইতোমধ্যে চীনা দূতাবাসের দুইজন ও মিয়ানমারের একজনসহ বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা টেকনাফে অবস্থান করছেন। তারা এখানকার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। তবে প্রত্যাবাসন শুরু হবে কি-না, সেটা নির্ভর করছে রোহিঙ্গাদের ইচ্ছার ওপর। সরকারের সিদ্বান্ত কোনো রোহিঙ্গাকেই জোর করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবেনা।
অন্যদিকে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হলেও এমন পরিস্থিতিতে গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারির মতো রোহিঙ্গাদের অনাগ্রহের কারণে আজও প্রত্যাবাসন আটকে যেতে পারে- এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
সবশেষ বাংলাদেশের শরণার্থী ক্যাম্পে বসবাসরত এক হাজার ৩৭টি পরিবারের তিন হাজার ৪৫০ জন রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসনের জন্য ছাড়পত্র দিয়েছে মিয়ানমার। এদের মধ্যে গত দুই দিনে টেকনাফের চারটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ২৩৫টি পরিবারের প্রধানদের সাক্ষাতকার গ্রহণও সম্পন্ন হয়েছে। যাদের মধ্যে স্বেচ্ছায় ফিরে যেতে আগ্রহী এমন ৩০০ রোহিঙ্গাকে বৃহস্পতিবার মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে প্রস্তুত রয়েছে বাংলাদেশ।
রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরতে রাজি হলে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম মৈত্রী সেতু দিয়ে তাদের প্রত্যাবাসনের কথা রয়েছে।
মিয়ানমার সরকার তিন হাজার ৪৫০ জন রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিলে দ্রুতই তাদের প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতি নেয় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৯
এসবি/এসএ