রোববার (২৫ আগস্ট) সদর উপজেলার চিতলীয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শামীমা চিতলিয়া গ্রামের রুহুল আমিন মৃধার মেয়ে ও আংগারিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
স্থানীয়রা জানান, বিকেলে শামীমাকে বাড়িতে রেখে মা লুৎফা বেগম বোন শিখাকে ডাক্তার দেখানোর জন্য শরীয়তপুর সদরে যান। শামীমার ভাই মুজাম্মেল ও বাবা রুহুল আমিন মৃধা আংগারিয়া বাজারে নিজেদের দোকানে ছিলেন। এ সুযোগে মিন্টু হাওলাদার রুহুল আমিনের বসত ঘরে ঢুকে আলমারি ভেঙ্গে টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় শামীমা বাধা দিতে গেলে বখাটে মিন্টু মেয়েটির মাথায় টর্চলাইট দিয়ে ও ধারালো ছুরি দিয়ে হাতের ওপর একাধিকবার আঘাত করে।
শামীমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে মিন্টু টাকা ও স্বর্ণাংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। শামীমাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। তার এখনো জ্ঞান ফেরেনি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
শামীমার ভাই মোজাম্মেল মৃধা বাংলানিউজকে বলেন, সন্ধ্যায় বাড়িতে লোকজন না থাকার সুযোগে এলাকার চিহ্নিত মাদকসেবী মিন্টু হাওলাদার আমাদের ঘরে ঢুকে আলমারি ভেঙ্গে তিন লাখ টাকা ও প্রায় সাত ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। শামীমা একা থাকার পরও সাহস করে বাধা দিতে গেলে তাকে টর্চলাইট দিয়ে মাথায় ও ধারালো ছুরিয়ে দিয়ে হাতে আঘাত করে গুরুতর জখম করে বখাটে মিন্টু।
তিনি বলেন, মিন্টু হাওলাদার এলাকায় এ ধরনের ঘটনা অনেকবার ঘটিয়েছে। তার বিরুদ্ধে জুয়া, মাদক ব্যবসা ও চুরি-ডাকাতির একাধিক অভিযোগ রয়েছে। আমরাও মামলা করবো। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, এ বিষয়ে আমারা এখনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৯
একে