সোমবার (২৬ আগস্ট) রাতে সদর হাসপাতালে এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। অভি পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।
অভির গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার লোহালিয়া গ্রামে। তবে তারা শহরের কাটপট্টি এলাকায় ভাড়া থাকে। তার বাবার নাম আনোয়ার হোসেন খান।
অভির বাবা আনোয়ার হোসেন খান জানায়, সন্ধ্যায় অভি অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। জরুরি বিভাগ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ওয়ার্ডে প্রেরণ করা হয়। এরপর সেখানে তার মৃত্যু হয়।
পরিবারের সদস্যরা জানান, অভিকে যখন হাসপাতালে নেওয়া হয় তখন কর্তব্যরত ছিলেন ডা. আনোয়ার খান। তিনি তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করেননি। উল্টো ডিউটি শেষ বলে হাসপাতাল ত্যাগ করেন।
বিষয়টি জানাজানি হলে হাসপাতালে গিয়ে ভাঙচুর চালায় অভির সহপাঠীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. তারেক হাসান বলেন, ‘রোগীকে সব ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে কেন যে তাকে ওয়াশ দেওয়া হয়নি সেটা আমার বোধগম্য নয়। ’
পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজ রহমান জানান, ঘটনাটি দুঃখজনক। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আর অভির মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৯
এমএ