বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মা-ছেলের মৃত্যু হয়। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাদের মরদেহ জানাযা শেষে দাফন করা হয়।
মৃতরা হলেন- ছোট হাদিনগর গ্রামের সাকিম আলীর স্ত্রী হাসনা বেগম (৩০) ও তার ছয় বছরের সন্তান হাসিব। অসুস্থ অবস্থায় রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মৃত শিশুর চাচি চম্পা খাতুন।
মৃত শিশুর বাবা সাকিম বাংলানিউজকে জানান, প্রতিদিনের ন্যায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিশু হাসিবকে তাদের পালিত একটি গাভীর দুধ পান করানো হয়। তখন হাসিব দুধ খেতে তিতা লাগছে বলে বাইনা করলেও বাকিটুকু জোর করে খাওয়ানো হয়। এরপর থেকে শিশুটির বুক জ্বালাপোড়া করছে বলে তার মাকে জানায়। কিছু সময় পর হাসিবের মা হাসনা বেগম দুধ খাবার পর তিতা স্বাদ পেলে তিনি হাসিবের চাচি চম্পাকে দুধ পরীক্ষা করার জন্য ডাক দেন। এরপর চম্পাও ওই দুধ পান করেন।
এক পর্যায়ে তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে রাত দেড়টার দিকে প্রথমে শিশু হাসিব ও পরে মা হাসনা বেগম মারা যান। হাসিবের চাচি চম্পাকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল ও পরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস খাইরুল আতাতুর্ক বাংলানিউজকে জানান, খাদ্যে বিষক্রিয়ার ফলে চম্পা বেগম অসুস্থ হয়ে পড়েন। একই কারণে মা-ছেলেরও মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৯
এনটি