আর উদ্ধার করা হয়েছে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার ধোলাসাধু খাঁ গ্রাম থেকে। তবে এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।
শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই স্কুলছাত্রীকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।
রাজশাহীর পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাকিল উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, মেয়েটির পরিবার থানায় অপহরণের মামলা দিলেও ঘটনাটি প্রেমঘটিত। উদ্ধারের পর ওই স্কুলছাত্রী নিজেই এ কথা পুলিশকে জানিয়েছে। গাজীপুরের এবাদুল হকের (২৮) সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রেম হয় ওই ছাত্রীর। মন দেওয়া-নেওয়ার পর তারা পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। এরই সূত্র ধরে ২৮ আগস্ট (বুধবার) বিকেলে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর থেকে তার প্রেমিক বাসে করে গাজীপুরের বাড়িতে নিয়ে যায়। ওই বাড়িতেই ছিল স্কুলছাত্রী। পুলিশ এবাদুলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে।
তবে পুলিশ যাওয়ার আগেই এবাদুল পালিয়ে যায়। এবাদুল গাজীপুরের কালিগঞ্জ উপজেলার ধোলাসাধু খাঁ গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে। আর ওই মেয়ে পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর শহীদ নাদের আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী।
ওসি বলেন, ওই স্কুলছাত্রীর বাবার অভিযোগ, গত ২৮ আগস্ট বিকেলে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার কথা বলে তার মেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। এর পর আর ফিরে আসেনি। তাকে বানেশ্বর থেকে অপহরণ করা হয়েছে বলে মামলা দিয়েছেন। তাই উদ্ধারের পর আদালতে পাঠিয়ে ১৬৪ ধারায় ওই স্কুলছাত্রীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। এরপর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে রামেক হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।
থানায় অপহরণের মামলা হওয়ায় পুলিশ আইনি প্রক্রিয়াতেই পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে বলেও উল্লেখ করেন রাজশাহীর পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাকিল উদ্দিন আহম্মেদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৯
এসএস/জেডএস