বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পার্থ ভদ্র শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে মামলার বাদী থমাস হেমব্রনের পক্ষে আদালতে নারাজি পিটিশন দাখিল করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জেড আই খাঁন পান্না।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার জেড আই খাঁন পান্না জানান, পিবিআই’র দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ ( চার্জশিট) পক্ষপাতমূলক ভাবে করা হয়েছে। সেখানে সার্বিক ঘটনাকে আড়াল করা হয়েছে। পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণসহ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও এজাহারনামীয় মূল আসামিসহ জড়িত অনেকের নাম চার্জশিটে বাদ দেওয়া হয়েছে। তাই পুনঃতদন্ত সাপেক্ষে জড়িত আসামিদের চার্জশিটে অন্তর্ভূক্তির দাবি জানিয়ে বাদীর পক্ষে আদালতে পিটিশন দাখিল করা হয়।
বিচারক পিটিশন আমলে নিয়ে আগামী ৪ নভেম্বর শুনানির দিন ধার্য্য করেছেন।
গত ২৮ জুলাই গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাওতাল পল্লিতে হামলা-হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল হাই সরকার।
চার্জশিটে মিলের কর্মকর্তা নাজমুল হুদা, ইউপি চেয়ারম্যান শাকিল আহম্মেদ বুলবুল, ইউপি সদস্য শাহ আলম ও মিলের শ্রমিকনেতাসহ ৯০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
পরে দাখিলকরা চার্জশিট প্রত্যাখ্যান করে পুনঃতদন্তের দাবিতে সভা-সমাবেশ ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে সাঁওতালরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৯
এসএইচ