বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা জানান।
এশিয়া ও দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর ইন্টারপোল ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গত ১ সেপ্টেম্বর ‘ইন্টারপোল পুলিশিং ক্যাপাবিলিটিজ প্রোগ্রাম ফর এশিয়া অ্যান্ড সাউথ প্যাসিফিক’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স শুরু হয়।
অনুষ্ঠান শেষে আইজিপি বলেন, পৃথিবীতে হুমকি বাড়ছে, অপরাধ বাড়ছে। ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বা সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে সমন্বিতভাবে কাজ করতে দক্ষতা ও সক্ষমতা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ইন্টারপোলের এ প্রশিক্ষণ অনেক বেশি কার্যকরী হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় ইন্টারপোল এ ধরনের প্রশিক্ষণের আয়োজন করছে।
পুলিশের ওপর পরপর চারটি হামলার ঘটনায় কাউকে চিহ্নিত করা গেছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, হামলাগুলোর প্রত্যেকটিই বিশ্লেষণ করছি। যেসব মামলা হয়েছে ,সেগুলো নিয়ে গভীরভাবে তদন্ত চলছে। সঠিকভাবে যাতে তদন্ত হয়, সেজন্য মনিটরিং করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে তদন্ত তদারকির জন্য সহায়ক টিমও গঠন করেছে ডিএমপি। আশা করছি, খুব শিগগিরই প্রত্যেকটি ঘটনার মধ্যে যে যোগসূত্র রয়েছে, তা বের করতে পারবো। এজন্য বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, ডিএমপি, জঙ্গিবিরোধী সংস্থাগুলো কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি বলেন, এ কোর্সটি অত্যন্ত সময়োপযোগী। এশিয়া ও দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর পুলিশ কর্মকর্তারা এ কোর্স থেকে উপকৃত হয়েছেন বলে আশা করছি। এ ধরনের প্রশিক্ষণ আন্তঃরাষ্ট্রীয় বন্ধন, সহযোগিতা ও আঞ্চলিক বন্ধুত্ব দৃঢ়করণের ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করবে।
মিরপুর পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর শেখ মুহম্মদ মারুফ হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইন্টারপোল সিবিটি পরিদফতরের ভারপ্রাপ্ত সহকারি পরিচালক ম্যাগালিঙ্গম ভিমান।
প্রশিক্ষণ কোর্সটিতে ভারত থেকে দু’জন, ভুটান থেকে এক জন, মালদ্বীপ থেকে এক জন, পূর্ব তিমুর থেকে দু’জন, শ্রীলঙ্কা থেকে এক জন, ফিলিপাইন থেকে এক জন, উজবেকিস্থান থেকে এক জন, ব্রুনাই থেকে দু’জন, জাপান থেকে এক জন, নিউজিল্যান্ড থেকে এক জন ও বাংলাদেশ থেকে পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তাসহ মোট ১৮ জন অংশ নেন।
জিম্বাবুয়ে, সিংগাপুর, ফ্রান্স ও নিউজিল্যান্ড থেকে মোট চারজন বিদেশি প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৯
পিএম/একে