ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিসিসি’র ২৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী স্বপদে বহাল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৯
বিসিসি’র ২৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী স্বপদে বহাল

বরিশাল: সাবেক ও বর্তমান কর্ম পরিষদের সময়ে মূল পদের বাইরে ঊর্ধ্বতন পদে চলতি দায়িত্ব, অতিরিক্ত দায়িত্ব, ভারপ্রাপ্ত এবং অন্তবর্তীকালীনসহ অন্যান্য দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) বিভিন্ন শাখার ২৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে পুনরায় স্বপদে বহাল করা হয়েছে।

সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) বিসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাইল হোসেন স্বাক্ষরিত এক আদেশে ওই কর্মকর্তাদের চলতি দায়িত্ব বাতিল করে স্বপদে বহাল করা হয়েছে।

বিসিসি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা বেলায়েত হাসান বাবলু বলেন, প্রশাসনিক কাজের স্বার্থে নগর কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তবে যারা ওএসডি অবস্থায় আছেন তাদের স্বপদে ফিরিয়ে আনা হলেও ওএসডি’র আদেশ প্রত্যাহার হয়নি।

তিনি আরও বলেন, নির্বাহী প্রকৌশলী পদে বহাল হওয়া আব্দুল মোতালেবের অভিযোগের বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তাই কাজের স্বার্থে তাকেও তার মূল পদে বহাল করা হয়েছে। তদন্ত শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হলে নগর কর্তৃপক্ষ পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।

চলতি দায়িত্ব বাতিল করে স্বপদে বহাল হওয়া কর্মকর্তারা হলেন- বিসিসি’র প্রধান প্রকৌশলী খান মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম। তিনি দীর্ঘ বছর ধরে ওই পদে চলতি দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তাকে তার মূল পদ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পদে বহাল করা হয়েছে।
এছাড়া তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পদে চলতি দায়িত্বে থাকা আনিচুজ্জামানকে তার মূল পদ নির্বাহী প্রকৌশলী পদে বহাল করা হয়েছে। পাশাপাশি সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোতালেব হাওলাদারকে তার মূল পদ নির্বাহী প্রকৌশলী পদে বহাল করা হয়েছে।

একইভাবে প্রকৌশল শাখায় সহকারী প্রকৌশলী থেকে নির্বাহী প্রকৌশলী পদে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা মকসুমুল হাকিম রেজা, উপ-সহকারী প্রকৌশলী থেকে পানি শাখায় চলতি দায়িত্বে সহকারী প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকা আরিফুর রহমান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী থেকে পানি শাখায় সহকারী প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকা মামুন অর রশিদ, কার্যসহকারী থেকে উপ-সহকারী প্রকৌশলীর (সিভিল) দায়িত্বে থাকা আহসান হাবিব ও হানিফ হোসেন, অফিস সহকারী কাম ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদ থেকে চলতি দায়িত্বে উচ্চমান সহকারী জলিল মিয়াকে স্বপদে বহাল করা হয়েছে।

এছাড়া হিসাব শাখার হিসাব সহকারী থেকে উচ্চমান সহকারী জাহাঙ্গীর হোসেন, হিসাব সহকারী থেকে সহকারী হিসাব রক্ষক একেএম জামাল উদ্দিন, প্রকৌশল শাখার উচ্চমান সহকারী থেকে প্রধান সহকারী (হেড ক্লার্ক) লকিতউল্লাহ সিকদার, কর আদায় শাখার অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর থেকে উচ্চমান সহকারী জাকিয়া আক্তার, পানি সরবরাহ শাখার সহকারী প্রকৌশলী থেকে নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) ওমর ফারুখ, পানি শাখার সুপারভাইজার পদ থেকে একই শাখার সহকারী তত্ত্বাবধায়ক সোহরাব হোসেন, পরিচ্ছন্নতা শাখার ওয়ার্ড সুপারভাইজার থেকে পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শক আবুল কালাম রানা, কর আদায় শাখার উপ-কর কর্মকর্তা থেকে রুটিন দায়িত্বে কর কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বাবলু, ভান্ডার রক্ষক থেকে উপ-কর কর্মকর্তা মুহসিন তুহিন, বিদ্যুৎ শাখার সহকারী প্রকৌশলী থেকে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে ওএসডি হওয়া কাজী মনিরুল ইসলাম স্বপন, কর আদায় শাখার বিল ক্লার্ক থেকে উচ্চমান সহকারী রাজিউর রহমান, যানবাহন লাইসেন্স শাখার অফিস সহকারী কাম ডাটা এন্ট্রি অপারেটর থেকে লাইসেন্স পরিদর্শক, পরিবহন শাখায় সহকারী প্রকৌশলীর অতিরিক্ত দায়িত্বে থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া উপ-সহকারী প্রকৌশলী কমাল কৃষ্ণ দাস, মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদ থেকে কর শাখার এ্যাসেসর কবির হোসেন, পাম্প অপারেটর থেকে পাইপ লাইন সুপারভাইজার আনিছুর রহমান, ভাল্ব অপারেটর থেকে পাইপ লাইন সুপারভাইজার হুমায়ুন কবির, কর আদায় শাখার উপ-কর কর্মকর্তা থেকে কর কর্মকর্তা আবুয়াল মাসুদ মামুন ও পানি শাখার নৈশ প্রহরী থেকে পাম্প অপারেটর ইদ্রিস আলীকে স্বপদে বহাল করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৫২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৯
এমএস/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।