ঢাকা, শুক্রবার, ৫ পৌষ ১৪৩১, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘নিরাপদ শহর’ হচ্ছে ঢাকা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯
‘নিরাপদ শহর’ হচ্ছে ঢাকা ঢাকা শহর/ফাইল ফটো

ঢাকা: অপরাধী শনাক্ত করে ধরা ও যানজট নিরসনে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার মতো বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে ‘সেফ সিটি প্রজেক্ট’ (নিরাপদ শহর) গ্রহণ করতে যাচ্ছে সরকার।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ‘ডিজিটাল কেস ডায়েরি’ এর উপর পর্যালোচনা সভা শেষে একথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
 
সেফ সিটির বিষয়টি অনেক দিন ধরে চিন্তা করছি জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরে ছয় হাজার পাকা রাস্তা রয়েছে।

আমরা সারা ঢাকায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিভিন্ন ধরনের ক্যামেরা স্থাপন করবো।
 
‘এখানে আমরা ট্রাফিক কন্ট্রোল করবো। যানজটে পড়ে সময়মতো যেতে পারেন না, যানজটের কবলে পড়ে আপনারা অনেকেই কষ্ট পান। সেটা নিরসনের জন্য আমরা ট্রাফিক মানেজমেন্ট সেফ সিটির মধ্যে নিয়ে আসছি। গাড়িগুলোকে শনাক্তকরণের জন্য গাড়ির নম্বর প্লেট দিয়ে সেই ধরনের ব্যবস্থা করছি। ’
 
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফেস রিকগনিশনের জন্য ক্যামেরার ব্যবস্থা থাকবে। যদি দেখা যায় কোনো ক্রিমিনাল কোনোখানে কোনো ক্রাইম ঘটিয়ে ফেলছে, তার এনআইডি থেকে আমরা ফটো নিয়ে যদি দিয়ে দেই সেই ক্যামেরার মাধ্যমে তাকে শনাক্তকরণের যে ব্যবস্থা আধুনিক বিশ্বে রয়েছে সেটা করার জন্য প্রচেষ্টা নিচ্ছি।
 
তিনি বলেন, আরও সুবিধা সম্বলিত সেফ সিটি করার জন্য একটি ডিপিপি করার প্রস্তুতি নিয়েছি এবং খুব শিগগিরই পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়ে দেবো। আশা করি সেটা খুব শিগগিরই পাস হবে। ঢাকা শহরকে ক্রাইমমুক্ত করার একটা প্রচেষ্টা আমাদের থাকবে।
 
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ঢাকার বিভিন্ন স্থান ক্যামেরার আওতায় আনায় ক্রাইম কিছুটা কমে যাচ্ছে। আরও কমানোর জন্য সারা ঢাকা সিটিতে করবো। এই ক্যামেরা গতানুগতিক ক্যামেরা নয়। এই ক্যামেরার ভিন্নতা রয়েছে, ফেস ডিটিকশন করবে। কোনো ছবি বা গাড়ির যদি ছবি দেই তখন ক্যামেরা থেকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে সংকেত আসবে। বিশ্বের উন্নত শহরগুলো এসব ক্যামেরা বসানো হয়।
 
প্রথম অবস্থায় ঢাকা ও ঢাকায় সফল হলে পরে চট্টগ্রাম এবং অন্যান্য সিটিতে যাবো বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ঢাকাসহ ১০ সিটি করপোরেশনে ডিজিটাল সেফ সিটি প্রকল্পের আওতায় আনা হবে।
 
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আমরা মুজিববর্ষে কিছু করবো এবং স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুরোটা ডিজটালাইজড করবো বলে অঙ্গীকারাবদ্ধ।
 
৯৯৯ এর আওতা বাড়ছে
জরুরি জাতীয় সেবায় ৯৯৯ এর সেবার আওতা বাড়াতে একটি কমিটি গঠন করা হযেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
 
তিনি বলেন, ৯৯৯ সার্ভিস অত্যন্ত জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এটার পিছনে আমাদের আইসিটি উপদেষ্টার পরিকল্পনা ছিল। জনসাধারণের একটা বিশ্বাস এসেছে যে ৯৯৯ টিপলে সার্ভিস পাবে এবং পাচ্ছে তাই।
 
তিনি বলেন, ৯৯৯ এর নীতিমালা প্রণয়নের জন্য অতিরিক্ত সচিব (পুলিশ) আহ্বায়ক করে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছি। ৯৯৯ আরো কীভাবে জনবাবন্ধব হতে পারে, জনগণের সেবায় আরো কীভাবে ৯৯৯ নিয়োজিত হতে পারে এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে ৯৯৯ কীভাবে আরো সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী হবে এবং আরো বেশি সেবা দেওয়া যাবে তা নিয়ে কাজ করবে।
 
কমিটিতে রয়েছেন, সুরক্ষা সেবা বিভাগের যুগ্মসচিব (ফায়ার সার্ভিস), উপ-মহা পুলিশ পরিদর্শক ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ তবারক উল্ল্যাহ (৯৯৯ পরিচালনা করছেন), স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের প্রতিনিধি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (আইন)। জননিরাপত্তা বিভাগ ও আইসিটি বিভাগ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।
 
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, এ পর্যন্ত এক কোটি ৪২ লাখ কল রিসিভ করেছে ৯৯৯। ৯৯৯ এর বর্তমান জনবল ১৪২। আরও ৫০০ জন নিয়োগ হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।