ঢাকা, শনিবার, ০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বুড়িগঙ্গা নদী পারাপারে ওয়াটার বাস

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯
বুড়িগঙ্গা নদী পারাপারে ওয়াটার বাস বিআইডব্লিউটিসি উন্নয়ন, আর্থিক ও প্রশাসনিক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়

ঢাকা: যাত্রী সাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে বুড়িগঙ্গা নদী পারাপারে সদরঘাট ও কেরানিগঞ্জের মধ্যে শিগগিরই চারটি ওয়াটার বাস চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) উন্নয়ন, আর্থিক ও প্রশাসনিক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
 
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠকে অন্যদের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ এবং বিআইডব্লিউটিসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
 
সভায় জানানো হয়, বিআইডব্লিউটিসির ১২টি ওয়াটার বাস রয়েছে। এর মধ্যে বুড়িগঙ্গা নদীতে পর্যটন কাজে ব্যবহারের জন্য একটি ওয়াটার বাস একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের কাছে চার্টার দেওয়া হয়েছে। বাকি ১১টি গাবতলী থেকে ওয়াইজঘাট এবং নারায়ণগঞ্জ থেকে টঙ্গী রুটে চলাচল করছে। সেগুলোর মধ্যে থেকে চারটি ওয়াটারবাস সদরঘাট ও কেরানিগঞ্জের মধ্যে বুড়িগঙ্গা নদী পারাপারে ব্যবহৃত হবে।
 
বিআইডব্লিউটিসির সব যাত্রীবাহী জাহাজ ও ফেরি সার্ভিসে যাত্রীসেবার মান বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। সংস্থার স্থাবর সম্পত্তির যথাযথ ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরও বেশি সচেতন থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
 
সভায় জানানো হয়, বিআইডব্লিউটিসির চারটি কন্টেইনার জাহাজ এমভি উদয়ন, এমভি উদ্দীপন, এমভি উত্তরণ ও এমভি উন্নয়ন এক্সপ্রেস ২০১৮ সালের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সাড়ে চার কোটি টাকা আয় করেছে। এই সময়ে জাহাজগুলোর অপারেশনাল ব্যয় হয়েছে দু’কোটি ৪০ লাখ টাকা। জাহাজ চারটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৫১ কোটি টাকা। কন্টেইনার জাহাজগুলোর নিয়মিত সার্ভিস পরিচালনার মাধ্যমে আয় বাড়ানোর ওপর বৈঠকে গুরুত্বারোপ করা হয়।
 
সভায় জানানো হয়, বিআইডব্লিউটিসি ২০১৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ এর আগস্ট পর্যন্ত ছয়টি ফেরিরুটে ওয়েব্রিজ স্কেল (ওজন মাপার স্কেল) থেকে ৯৭ কোটি টাকা এবং রেকার থেকে ২০১৯ এর আগস্ট মাসে এক কোটি টাকা আয় করেছে। বিআইডব্লিউটিসি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১০টি ফেরি রুটে ৩০ লাখ ৪৮ হাজার ৬২৯টি বাস, ট্রাক ও হালকা যানবাহন পারাপার করেছে। বর্তমানে ৪৫টি ফেরি চালু রয়েছে। আরও ১২টি ফেরি সংগ্রহ এবং ১৯টি নতুন ফেরিরুট সমীক্ষার কাজ চলমান।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।