সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শহরতলীর মাছুলিয়া অংশে অভিযান চালানো হয়। দুপুরে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ছয়টি ভবন ভেঙে ফেলা হয়।
হবিগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসিন আরাফাত রানা বাংলানিউজকে বলেন, সোমবার দিনভর উদ্ধার কার্যক্রম চালানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব উচ্ছেদ করা হবে।
হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মাহমুদুল কবীর মুরাদ বাংলানিউজকে বলেন, রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবীসহ নানা শ্রেণী-পেশার প্রায় ৬০০ পরিবার এবং প্রতিষ্ঠান খোয়াই দখল করে রেখেছে। এরই মধ্যে এদের তালিকা করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব উচ্ছেদ করা হবে। যাদের লিজ দেওয়া হয়েছে, এগুলো বাতিল করা হবে। এছাড়া ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করা হবে।
তিনি আরও জানান, জেলা পরিষদ থেকে মাছুলিয়া পর্যন্ত খাল খনন কর্মসূচির মাধ্যমে পুরাতন নদী উদ্ধার করা হবে। নদীর আড়াই কিলোমিটার এলাকাকে নান্দনিক করাসহ ‘খোয়াই রিভার সিস্টেম উন্নয়ন প্রকল্প’ বাস্তবায়নে এক হাজার ৮৭২ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। যা বর্তমানে দুই হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদন পেলে শিগগিরই শুরু হবে এর কাজ।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯
এসআরএস