পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশ তিনজনকে আটক করেছেন।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, গত কয়েকদিন ধরে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে আসছিল। এর জেরে সোনাইমুড়ী থানার ওসি সামাদ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে উভয়পক্ষকে বুধবার রাতে সালিশি বৈঠক ডেকে সমাধানের আশ্বাস দেন। বৈঠক শুরু হওয়ার সময় অন্য আরেকটি গ্রুপের ১৫-২০ জনের একটি দল এসে কোনো কিছু বোঝার আগেই এলোপাতাড়ি ককটেল, বোমা ও গুলি করতে শুরু করে। এতে সোনাইমুড়ী থানার ওসি সামাদ ও কনস্টেবল জসিম উদ্দীনসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে বিপ্লব (২৫) ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক আবু সায়েমসহ অন্তত আট জন আহত হন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা আরও জানায়, সোনাইমুড়ী পৌরসভার আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের মহড়া প্রদর্শন ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সামাদ বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সংঘর্ষের ঘটনায় তিনি থানায় বসে বিষয়টি নিষ্পত্তির আশ্বাস দিলেও দু’গ্রুপের পাল্টাপাল্টি উত্তেজনায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে আমিসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯
আরআইএস/