সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এ উপলক্ষে ঢাবির নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি। এতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে করা হয় প্রধান অতিথি।
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও দুই জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম ও অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানকে অনুষ্ঠানে করা হয় বিশেষ অতিথি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানও একইভাবে মূল্যায়িত হন।
অনুষ্ঠানে আগত কয়েকজন ব্যানারে এভাবে নাম দেখে কিছুটা সমালোচনা করেন। প্রধান অতিথির বক্তৃতা দিতে উঠে এ ঘটনায় বিব্রতবোধ প্রকাশ করেন খোদ ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, মূল্যবোধের অবক্ষয় চলছে। কোনো মন্ত্রীকে প্রধান অতিথি না করলে মিডিয়া আসবে না? জাতীয় অধ্যাপক কি মন্ত্রীর চেয়ে গৌন কোনো ব্যক্তি? আমাদের মিডিয়া কোথায় গেল? আমাদের বাস্তবতা হলো মন্ত্রী দাওয়াত না দিলে মিডিয়া অতো গুরুত্ব দেয় না। বিষয়টা আমার খুব খারাপ লাগছে, খুবই বিব্রতবোধ করছি। ভবিষ্যতে এই বিষয়গুলো দেখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে প্রাপ্যের অধিক সম্মান পাওয়ার কথা জানিয়ে অনুষ্ঠানে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, আমরা অভিভূত। বাংলাদেশে গড় আয়ু বাড়ছে। তবে বৈষম্য বিরাজমান। যার কারণে অনেক শিক্ষার্থী ব্যয় নির্বাহ করতে পারে না। এই বৃত্তি শিক্ষার্থীদের সহায়ক হবে।
অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, চারিত্রিক দৃঢ়তা, বলিষ্ঠতা দেশপ্রেমে শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরী। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে চলছেন তিনি।
ঢাবি উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান বলেন, বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে জন্মদিন উদযাপনের নতুন যে ধারা শুরু হলো, মানুষকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য এর চেয়ে উৎকৃষ্ট মাধ্যম আর হতে পারে না। এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে প্রত্যাশা করি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯
এসকেবি/এইচএ/