তিনি বলেন, সড়কটি নির্মাণ কাজ শেষ হলে সীমান্ত সুরক্ষা এবং মাদক চোরাচালান রোধে আরও বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে বিজিবি।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সেন্টমার্টিনে পুনঃস্থাপিত বর্ডার আউট পোস্ট (বিওপি) পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন।
এর আগে, দুপুর দেড়টার দিকে একটি বিশেষ হেলিকপ্টার যোগে তিনি সেন্টমার্টিন দ্বীপে অবতরণ করেন। এরপর বিজিবির মহাপরিচালক সরাসরি সেন্টমার্টিনের কোনার পাড়া সংলগ্ন বিজিবির অস্থায়ী বিওপি পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি মোটরসাইকেলে করে বিওপিটির স্থায়ী কার্যালয় নির্মাণের জন্য দ্বীপের নির্বাচিত জায়গা ঘুরে দেখেন।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে সেন্টমার্টিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ, মাদক চোরাচালান এবং সীমান্ত সুরক্ষার জন্য সেন্টমার্টিনে বিজিবির এ বর্ডার আউট পোস্ট (বিওপি) স্থাপন করা হয়েছে। ‘টেকনাফে ইয়াবা চোরাচালান রোধে আমরা অনেকটা সফল হয়েছি। নৌপথে যে সমস্যাটা রয়ে গেছে তা দূর করতে সেন্টমার্টিনের এ বিওপি ভূমিকা রাখবে’।
তিনি বলেন, এতো বিশাল সীমান্ত সুরক্ষা দেওয়া এবং সীমান্তে মাদকসহ বিভিন্ন চোরাচালান রোধ করা বিজিবি এবং অন্যন্য আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষে পক্ষে সম্ভব নয়। এ কাজে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। তাহলেই এখান থেকে মাদকের বিষবাষ্প ঠেকানো সম্ভব।
উল্লেখ্য, চলতি বছর ৭ এপ্রিল থেকে সেন্টমার্টিনে বিজিবি মোতায়েন করা হয়। এর আগে, ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত সেন্টমার্টিনে তৎকালীন বিডিআর (বাংলাদেশ রাইফেলস) মোতায়েন ছিল। দীর্ঘ ২১ বছর পর নতুন করে সীমান্তরক্ষী বাহিনী মোতায়েন এবং বিওপি প্রতিষ্ঠার পর এটি বিজিবির কোন মহাপরিচালকের প্রথম সফর। এর আগে দ্বীপটিতে বিজিবি সীমান্ত নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকলেও কোস্টগার্ড নিয়োজিত করার পর বিজিবি সদস্যদের প্রত্যাহার করা হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯
এসবি/আরআইএস/