পঞ্জিকা মতে, শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) মহালয়ার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে মর্তলোকে দেবীর আগমনী বার্তা বেজে ওঠবে।
আগামী ৪ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মাধ্যমে শুরু হয়ে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে ৮ অক্টোবর শেষ হবে শারদীয় দুর্গাপূজা।
এদিকে, বরিশাল শহরের বেশ কয়েকটি পূজামণ্ডপ ঘুরে ব্যস্ততার চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। এসব মণ্ডপের বেশির ভাগেরই মাটির কাজ শেষে চলছে রংয়ের কাজ। তবে বড় বড় মণ্ডপগুলো ঘিরে দেখা গেছে, প্রতিযোগিতামূলক বড় তোরণ নির্মাণসহ সাজসজ্জার কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে।
বরিশালের সর্ববৃহৎ পূজামণ্ডপ শ্রী শ্রী শংকর মঠ পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি কিশোর দে বলেন, পূজার আয়োজনে কোনো কমতি রাখতে চাচ্ছেন না। তাই বিগত দিন থেকে এবারে একটু ব্যতিক্রম আয়োজন করতে যাচ্ছেন তারা। আলোকসজ্জা ও তোরণ নির্মাণে আসছে পরিবর্তন।
কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিমন কৃষ্ণ সাহা কানু বলেন, প্রতিবারের মত এবারও আমরা বরিশালের সব থেকে বড় তোরণ নির্মাণ করছি। প্রতিমা তৈরিতেও নতুন নকশা আনা হয়েছে। আশা করছি, দুর্গাপূজায় আমাদের এ বৃহৎ পূজামণ্ডপে কোনো কিছুরই ঘাটতি থাকবে না।
এদিকে, শহরের পাষনময়ী কালিমাতার মন্দিরে এবারও পুকুরের মধ্যে মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে। এখানে সাজসজ্জায় প্রতিবারের মত থাকছে ভিন্নতা।
দুর্গাপূজার সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে বরিশাল মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুরঞ্জিৎ দত্ত লিটু বলেন, এবার আমাদের সার্বিক পরিস্থিতি ভালো। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রয়েছে। কয়েকদিন পরেই শহর উৎসবের আলোকসজ্জায় মুখরিত হয়ে ওঠবে।
এদিকে, বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় সবচেয়ে বেশি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। এবারও আগৈলঝাড়ার ১৫৪টি পূজামণ্ডপে চলছে আয়োজন। তবে এ বছরই আগৈলঝাড়া উপজেলার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ থাকছে একশ’ হাতের নির্মিত দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গার প্রতিমা। উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের জলিরপাড় গ্রামের বাসুদেব ওঝার বাড়ির সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরে নির্মাণ করা হয়েছে একশ’ হাতের ব্যতিক্রমী দেবী দুর্গার প্রতিমা।
উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির নেতারা জানান, বরিশাল বিভাগের সবচেয়ে বেশি পূজা আগৈলঝাড়ায় অনুষ্ঠিত হলেও একশ’ হাতের ব্যতিক্রমী দুর্গা প্রতিমা এ প্রথম নির্মাণ করা হয়েছে।
শত হাতের দেবী দুর্গার নির্মাণ শিল্পী মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ এলাকার ছন্টু বাউরী বলেন, বংশ পরম্পরায় তারা প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন। বাসুদেব ওঝার বাড়িতে ২০ দিন কাজ করে একশ’ হাতের দুর্গা প্রতিমার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছেন।
আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিপুল চন্দ্র দাস বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। উপজেলায় প্রতি পূজামণ্ডপে পাঁচশ’ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯
এমএস/আরবি/