রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে রাজশাহীগামী সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে নাটোর বাস, মিনিবাস মালিক সমিতি। তবে মালিক সমিতির দাবি নাটোর থেকে কোনো বাস চলাচল বন্ধ করা হয়নি।
জানা যায়, রাজশাহী মালিক সমিতির নির্দেশে সব বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিএনপির মহাসমাবেশকে বানচাল করতেই আওয়ামী লীগ সুকৌশলে বাস মালিক সমিতিকে দিয়ে অঘোষিত ধর্মঘট ডেকেছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
এদিকে নাটোর শহরের বনবেলঘড়িয়া, প্রাণ কোম্পানির গেটসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে যানবাহনে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
সিংড়া বাস টার্মিনালে চেকপোস্ট বসিয়ে বিভিন্ন বাসে তল্লাশি চালাচ্ছে সিংড়া থানা পুলিশ। বড়াইগ্রাম, গুরুদাসপুর, নলডাঙ্গা, বাগাতিপাড়া ও লালপুর এলাকায় বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।
জানা যায়, দুপুর আড়াইটার সময় বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে হঠাৎ করেই সকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় মালিক সমিতি।
এতে করে উত্তরাঞ্চল এবং দক্ষিণাঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা বাস নাটোরের বড়হরিশপুর বাস টার্মিনালে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে ফিরে যাচ্ছে।
ফলে অঘোষিত এই ধর্মঘটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস হওয়ায় অফিসে যেতে ভোগান্তিতে পড়েছেন অনেকে। কেউ কেউ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় রাজশাহী যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে তিনগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।
সকালে রাজশাহীর বানেশ্বরগামী যাত্রী হাবিব হোসেন বলেন, সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস। কিন্তু হঠাৎ করে বাস বন্ধ থাকায় কর্মস্থলে যেতে পারছিনা। যেতে চাইলেও বানেশ্বরের অটো ভাড়া ১০০ টাকা চাওয়া হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী সোহান পরিবহনের চালক মোবারক হোসেন বলেন, সিরাজগঞ্জ থেকে যাত্রী নিয়ে রাজশাহী যাওয়ার জন্য রওনা দেই। কিন্তু মালিক সমিতি থেকে রাজশাহী যাওয়ার জন্য নিষেধ করা হয়েছে। বাধ্য হয়ে নাটোরে যাত্রী নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নাটোর বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি লক্ষণ পদ্দার বাংলানিউজকে বলেন, নাটোর থেকে বাস চলাচল বন্ধ করা হয়নি।
রাজশাহী মালিক সমিতির নির্দেশে সব বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। কি কারণে সেটা আমরা জানি না।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৯
আরএ