সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শুনানি শেষে বরগুনার শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান অভিযুক্ত ৬ জনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
জামিন আবেদন নামঞ্জুর হওয়া অভিযুক্ত কিশোররা হলো- দাখিল করা অভিযোগপত্রের ১ নম্বর অভিযুক্ত রাশিদুল হাসান রিশান ফরাজী, ৪ নম্বর মো. অলিউল্লাহ অলি, ৫ নম্বর জয় চন্দ্র সরকার চন্দন, ৭ নম্বর মো. তানভীর হোসেন, ৮ নম্বর মো. নাজমুল হাসান এবং ১৩ নম্বর রাতুল সিকদার জয়।
জামিন নামঞ্জুর হওয়া এসব অভিযুক্তরা সবাই যশোর শিশু-কিশোর সংশোধনাগারে রয়েছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নার্গিস পারভীন সুরমা জানান, আদালতের নির্দেশে শিশু-কিশোর সংশোধনাগারে থাকা রিফাত হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত ৬ কিশোর অভিযুক্তের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেছিলেন বরগুনার শিশু আদালতে। পরে শুনানি শেষে আদালত সবার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ২৪ জনের মধ্যে ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে ৬ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক রয়েছে। তাদের যশোর শিশু-কিশোর সংশোধনাগারে রাখা হয়েছে। অপ্রাপ্তবয়স্ক এসব অভিযুক্তদের মধ্যে মো. রাশেদুল হাসান ওরফে রিশান ফরাজী ও মো. তানভীর হোসেনের বিরুদ্ধে একটি করে হত্যাচেষ্টা ও মারধরের মামলা রয়েছে। এছাড়া মো. ওয়ালিউল্লাহ অলি নামে ৪ নম্বর অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একটি মাদক ও একটি হত্যাচেষ্টার মামলা রয়েছে।
এছাড়া এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক অভিযুক্ত মুছা, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, হাসান, কিশোর অভিযুক্ত আবদুল্লাহ ওরফে রায়হান, সাইয়েদ মারুফ বিল্লাহ ওরফে মহিবুল্লাহ, মারুফ মল্লিক, প্রিন্স মোল্লা, রাকিবুল হাসান রিফাত হাওলাদার, নাইম পলাকত রয়েছেন। আর এ মামলার এজাহারে প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ড বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
২৬ জুন প্রকাশ্য দিবালোকে বরগুনা সরকারি কলেজ রোডে স্ত্রী মিন্নির সামনে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। পরে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। হত্যাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ড ২ জুলাই ভোরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। এর মধ্যে মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৯
আরএ