ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

আইপিইউ সম্মেলনে সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে গুরুত্বারোপ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৯
আইপিইউ সম্মেলনে সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে গুরুত্বারোপ

ঢাকা: সংসদীয় চর্চা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে আলজেরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হওয়ার আশা ব্যক্ত করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট স্লিমানে চেনাইন। পাশাপাশি ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) সম্মেলনে বিশ্বের অনেক দেশ মতবিনিময়ের যে সুযোগ পেয়েছে, এর মধ্য দিয়ে সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে এ সুযোগকে কাজে লাগানোর উপর গুরুত্ব দিয়েছেন তারা।

রোববার (১৩ অক্টোবর) রাতে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও স্লিমানে চেনাইন ১৪১তম ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) ভেন্যু সাভা সেন্টারে সৌজন্য সাক্ষাতে এ অভিমত ব্যক্ত করেন।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) জাতীয় সংসদ সচিবালয় থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়, সংসদীয় চর্চা, সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন এবং সন্ত্রাসবাদ নির্মূল নিয়ে আলোচনা করেন।

স্পিকার বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আলজেরিয়ার সম্পর্ক ঐতিহাসিক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই আলজেরিয়া বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৭৩ সালে আলজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ আজও স্মরণীয় হয়ে আছে।

আরও পড়ুন>>>১৪১তম আইপিইউ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

সংসদীয় চর্চা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে আলজেরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন। এসময় তিনি আলজেরিয়ার পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

স্পিকার আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাসবাদের বিপক্ষে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছেন। ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর এই নীতিতেই বিশ্বাস করে বাংলাদেশ। সংসদীয় সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনভুক্ত (ওআইসি) দেশগুলো শান্তি আনতে ভূমিকা রাখতে পারে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

আলজেরিয়ার পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট স্লিমানে চেনাইন বলেন, সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ গঠনের মাধ্যমে দু’দেশের বিদ্যমান সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হতে পারে। ঐতিহাসিক সম্পর্কের ধারাবাহিকতায় দুই দেশ আন্তর্জাতিকভাবে সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে ভূমিকা রাখতে পারে।

‘আইপিইউ সম্মেলন এমন এক মিলনমেলা, যেখানে বিশ্বের সব দেশ মতবিনিময়ের সুযোগ পায়। সারা বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।

সাক্ষাৎকালে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সদস্য ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমেদ, শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আমির হোসেন আমু, মো. হাবিবে মিল্লাত, ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল, আবদুস সালাম মুর্শেদী, পীর ফজলুর রহমান, সুবর্ণা মুস্তাফা, শবনম জাহান, সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান এবং ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৯
এসকে/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।