জানা যায়, ওই এলাকার কয়েকটি গ্রামের প্রায় একশ’ ছেলে-মেয়ে পড়াশুনা করতে আসে বিদ্যালয়টিতে। কিছুদিন আগে বিদ্যালয়ের পাশের একটি পুকুর পাড়ের তালগাছ ভেঙে বিদ্যালয়ের এক অংশে ভাঙন ধরে।
গত কয়েকদিন আগে মিতু নামে তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ওই ভাঙা স্থানে পড়ে গিয়ে আহত হয়।
বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থী বলে, আমাদের খেলার মাঠ নেই তাই আমরা বারান্দায় খেলাধুলা করি। একদিন পুকুরে খেলনা পড়ে গেলে সেটা আনতে গেলে আমাদের এক বান্ধবী পানিতে ডুবে যায়। পরে স্যারেরা তাকে উদ্ধার করে। তাছাড়া এই পুকুরের পাড় ভেঙে আমাদের বিদ্যালয়ের ভবনে ফাটল ধরেছে। আমরা সব সময় অনেক ভয়ে থাকি। এজন্য অনেকেই স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে।
চককালিদাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মরজিনা বেগম বলেন, পুকুরের পাড় ভেঙে বিদ্যালয়ের এক অংশে ফাটল ধরেছে। এজন্য ঝুঁকি নিয়ে আমাদের পাঠদান করাতে হচ্ছে। এরই মধ্যে অনেক অবিভাবক শিশুদের স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে পুকুর মালিকদের অনেক বার অনুরোধ করা হয়েছে। যাতে করে পুকুরের পাড়টা তারা সংস্কার করেন। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। তাছাড়া বিদ্যালয়ের নিজস্ব ফান্ড না থাকায় সংস্কার কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই জেলা অফিস বরাবর লিখিত দরখাস্ত করেছি আমরা।
বিদ্যালয়ের সমস্যার কথা স্বীকার করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমিনুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, এ বিষয়ে আমরা একটি লিখিত দরখাস্ত পেয়েছি। বর্তমানে সংস্কারের জন্য কোনো প্রকল্প নেই, তবে প্রকল্প বরাদ্দ পেলে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ওই পুকুরের মালিক শহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয়রা দ্রুত বিদ্যালয়টি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৯
আরএ