বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) প্রতিমন্ত্রী কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মিড-ডে-মিল কার্যক্রম বাস্তবায়নের বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
জাকির হোসেন বলেন, এ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ নীতি থাকা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ২০১১ সাল থেকে শুরু হয় স্কুল ফিডিং কর্মসূচি, যা বর্তমানে দেশের ১০৪ উপজেলায় চালু আছে। এ কর্মসূচির আওতায় প্রায় ৩৩ লাখ প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীকে প্রতি স্কুলদিবসে উচ্চ পুষ্টিমানসমৃদ্ধ ৭৫ গ্রাম বিস্কুট সরবরাহ করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বিস্কুট প্রতিদিন বাচ্চারা খেতে না চাওয়ায় বিকল্প হিসেবে বিস্কুট, কলা ও ডিম এ তিনটি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পরিবেশন করা হয়।
তিনি বলেন, বিভিন্ন জরিপ অনুযায়ী মিড-ডে-মিল চালু এলাকার বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার কমে এসেছে এবং উপস্থিতি ও পুষ্টিমান বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে শিক্ষার গুণগত মান ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় বিত্তশালীরা সম্পৃক্ত হলে, মিড-ডে-মিল কার্যক্রম আরও বেগবান হবে।
মতবিনিময় সভায় স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী স্থানীয় জনগণের মধ্যে পানীয়জল সরবরাহের জন্য টিউবওয়েল বিতরণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৯
এসএইচ