শেখ রাসেলের ৫৬তম জন্মদিন উপলক্ষে ফেনীতে আয়োজিত আবৃত্তি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি ফেনীর আয়োজনে জেলা পরিষদের ড. সেলিম আল দীন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আরও বলেন, শেখ রাসেলের মতো কোনো শিশুকে যেন নির্বিচারে হত্যার শিকার না হতে হয়।
‘তাদের প্রতি কোনো বাধা-বিপত্তি, অত্যাচার ও অবিচার থাকবে না। শিশুরা যেন মুক্ত পরিবেশের মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠতে পারে, সেজন্য জাতির জনকের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিনে শিশুরা বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। তাদের সর্বোচ্চ সুবিধা দিয়ে পাঠদানের সুযোগ দিচ্ছে বর্তমান সরকার। ’
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, শিশুদের মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষা, সহানুভূতি, সময়ানুবর্তিতা, ভালোবাসা, শ্রদ্ধাবোধ, বিনয়ী হওয়ার শিক্ষা দিতে হবে অভিভাবকদের।
তিনি বলেন, ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলে পড়ত ছোট্ট শিশু রাসেল। তার চেহারায় এক অমায়িক ভাব। খুনিরা কত জঘন্য হলে জাতির জনকের কনিষ্ঠপুত্রকে হত্যা করেছে। রাসেলতো রাজনীতি করতেন না, তিনি ছিলেন ছাত্র-শিশু। যারা শিশু ও নারী হত্যা করে, তারা ঘৃণিত ব্যক্তি।
এসময় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের যারা হত্যা করেছে, তাদের দ্রুত বিচারের দাবিও জানান জেলা প্রশাসক।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুমনী আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বিকম, ফেনী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়তি রানী কৈরী, স্বাগত বক্তব্য রাখেন- জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা নুরুল আবছার ভূঁইয়া, অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন- শিশু একাডেমির আবৃত্তি প্রশিক্ষক পৃথ্বিরাজ চক্রবর্তী।
আলোচনা সভার আগে শিশুদের অংশগ্রহণে আবৃত্তি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ী শিশুদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৯
এসএইচডি/এসএ