ঢাকা, শুক্রবার, ১১ আশ্বিন ১৪৩১, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

তেঁতুলিয়া নদীতে পুলিশের ইলিশ শিকার, ৫ সদস্য ক্লোজড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৯
তেঁতুলিয়া নদীতে পুলিশের ইলিশ শিকার, ৫ সদস্য ক্লোজড

বরিশাল: পটুয়াখালীর বাউফলে তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশ ধরার সময় পু‌লিশ সদস্য আটকের ঘটনায় এবার পাঁচজনকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে।

তাদের বরিশাল মহানগরের বন্দর (সাহেবের হাট) থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘটনার তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) আকরাম হোসেন।

তিনি জানান, বিষয়টি তদন্তাধীন থাকায় এখন এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্ত শেষে পুরো বিষয়টি জানানো যাবে।

এদিকে থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রত্যাহার হওয়াদের মধ্যে বরিশাল মহানগরের বন্দর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) তারিকুল ইসলাম ও ইরফান হোসেন, সোহেল রানা এবং কনস্টেবল জাকির হোসেন ও ইব্রাহিম রয়েছেন।

এর আগে একই ঘটনায় সোমবার (২১ অক্টোবর) বরিশাল মহানগরের বন্দর থানার তিন পুলিশ সদস্য উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিসুর রহমান, কনস্টেবল মোহম্মদ আলী ও জুলফিকারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

জানা গেছে, রোববার (২০ অক্টোবর) পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় তেতুঁলিয়া নদীর ধুলিয়া পয়েন্টে মা ইলিশ রক্ষার অভিযানে বরিশাল মহানগর পুলিশের বন্দর থানার কনস্টেবল জুলফিকার আলী ও মোহাম্মদ আলীকে আটক করে স্থানীয় প্রশাসন। ওই অভিযানে আরও চার জেলেকে আটক করা হয় এবং জব্দ করা হয় মা ইলিশ।

পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ সাংবাদিকদের জানান, রোববার বিকেলে বাউফল উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মৎস্য কর্মকতা এবং নৌ পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে একটি দল অভিযানে নামে। তেতুঁলিয়া নদীর ধুলিয়া পয়েন্টে ইলিশ ধরারত একটি ট্রলার আটক করে। ওই ট্রলার থেকে বরিশাল বন্দর থানার জুলফিকার ও মোহাম্মদ আলী নামে দুই পুলিশ সদস্য ও চার জেলেকে আটক করা হয়। অভিযানের সময় দু’টি স্পিডবোটসহ অন্যরা পালিয়ে যান।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৯
এমএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।