সম্প্রতি ইশ্বরদী গ্রামের বাসিন্দাদের এই শান্তিকামী পদক্ষেপ প্রশংসিত হচ্ছে উপজেলাজুড়ে।
জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারের জন্য প্রায়ই সংঘর্ষ হতো নগরকান্দা উপজেলার কোদালিয়া শহীদনগর ইউনিয়নের ইশ্বরদী গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে।
নগরকান্দা থানা পুলিশের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) অস্ত্র জমা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রথম দিনে জমা পড়ে ২১টি ঢাল, ১২টি শরকি, ৯টি বল্লম এবং ১টি ট্যাটা।
অস্ত্র জমা নেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) এফ এম মহিউদ্দীন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সোহেল রানা, পরিদর্শক (তদন্ত) মিরাজ হোসেন, কোদালিয়া শহীদনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান প্রমুখ।
নগরকান্দা প্রেসক্লাবের সভাপতি বোরহান আনিস বাংলানিউজকে জানান, এ অঞ্চলের মানুষ প্রায়ই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এর অন্যতম কারণ আধিপত্য বিস্তার। ঠুনকো বিষয় নিয়েও সংঘর্ষ দেখা দেয় তাদের মধ্যে। সংঘর্ষের পর দুর্বল প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। গত এক বছরে উপজেলায় কমপক্ষে ১০ হাজার বাড়ি-ঘর, দোকান-পাট ভাঙচুর করা হয়েছে। চালানো হয়েছে লুটপাটও। এগুলো এখানে খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। এসব ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৫০ কোটি টাকারও বেশি।
নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সোহেল রানা জানান, সংঘাতপ্রবণ এ অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনতেই পুলিশের পক্ষ থেকে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গ্রাম্য মাতব্বর ও স্থানীয়দের সম্পৃক্ত করা হয়েছে এ কার্যক্রমে। পর্যায়ক্রমে উপজেলার প্রত্যেকটি গ্রাম থেকে এসব দেশীয় অস্ত্র জমা নেওয়া হবে। একইসঙ্গে সহিংসতা-সংঘর্ষের কুফল ও ক্ষতি সম্পর্কে এ অঞ্চলের মানুষকে সচেতন করে তোলা হচ্ছে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে অচিরেই এলাকার সংঘর্ষ-সহিংসতার প্রবণতা চিরতরে বন্ধ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৯
এইচএডি/এইচএ/