ঢাকা, বুধবার, ১৮ পৌষ ১৪৩১, ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ০০ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে বরিশালে নানা কর্মসূচি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৯
কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে বরিশালে নানা কর্মসূচি

বরিশাল: ‘পুলিশের সঙ্গে কাজ করি, মাদক-জঙ্গি-সন্ত্রাসমুক্ত দেশ গড়ি’ এই স্লোগানে শনিবার (২৬ অক্টোবর) সারাদেশে পালিত হবে কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০১৯।

দিবসটি উপলক্ষে বরিশাল জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করা হবে।

বরিশাল জেলায় কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমের ফলে সেবা প্রদানকারীদের মধ্যে দূরত্ব কমে ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে বলে জেলা পুলিশের তথ্যে উঠে এসেছে।

পাশাপাশি সরকারি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় দ্রুত সময়ে পৌঁছে দেওয়ার ফলে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি জনসাধারণের আস্থা বেড়েছে বলেও পরিসংখ্যানে বেড়িয়ে এসেছে।

বরিশালের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, জেলা পুলিশের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে চলেছে জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম। তারা প্রতিনিয়ত ছোট ছোট কাজ করে যাচ্ছে, যা একদিন অনেক বড় সাফল্যে রূপ নেবে বলে আমরা মনে করি।

তিনি বলেন, কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমের মাধ্যমে নিরলসভাবে কাজ করে সমাজের মানুষকে নিরাপত্তা, আইনি সহায়তা ও সেবা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে বিশেষ অবদান রাখা যাবে বলে আমরা মনে করি।

এদিকে জেলা পুলিশের তথ্যানুযায়ী, বরিশাল জেলার প্রত্যেক থানার ইউনিয়ন ও পৌরসভা পর্যায়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে এ পর্যন্ত মোট ৮৮১টি কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। যার সদস্য সংখ্যা ২৭ হাজার ৯৮০। এছাড়া ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ৬৪৮টি কমিউনিটি পুলিশিং সভা করা হয়েছে।  

অন্যদিকে বরিশাল জেলার থানা এলাকার প্রতিটি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুলিশের উপস্থিতিতে শিক্ষকদের সহায়তা নিয়ে ৫০টি স্টুডেন্ট কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। যে কমিটির সদস্য সংখ্যা ১ হাজার ৪। এছাড়া এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬৭২টি স্টুডেন্ট কমিউনিটি পুলিশিং সভা করা হয়েছে।

এছাড়া জেলার প্রত্যেক থানা বা ইউনিটে প্রতি মাসের নির্দিষ্ট তারিখে এবং নির্দিষ্ট সময়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে একবার ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত হয়। এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ৮৮টি ওপেন হাউজ ডে সভা করা হয়েছে।

আবার জেলার বিভিন্ন থানা এলাকাকে ১৪০টি বিটে ভাগ করে প্রত্যেক বিটে একজন অফিসারকে দায়িত্ব দিয়ে বিট পুলিশিং কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ৪ হাজার ১২৩টি বিট পুলিশিং সভা করা হয়েছে।  

এছাড়া জেলা পুলিশের সার্বিক কার্যক্রমের আওতায় ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ২৩৪ জন মাদকবিক্রেতা ও সেবী আত্মসমর্পণ করেছে। এর মধ্যে ২৮ জনকে ইতোমধ্যে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

একইসঙ্গে এ বছরেই রেঞ্জ ডিআইজি শফিকুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে আত্মসমর্পণ করা মাদকবিক্রেতা ও সেবীদের নিয়ে সরকারি নিবন্ধন করা স্বপ্নতরী নামক সমবায় সমিতি গঠন করা হয়েছে। অন্যদিকে রেঞ্জ ডিআইজির নির্দেশনার প্রেক্ষিতে বরিশাল জেলায় গত ১২ সেপ্টেম্বর তথ্য বা অভিযোগ বক্সের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।

বরিশাল মহানগরের কোতোয়ালী মডেল থানা এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ১৭টি ও জেলাধীন ১০টি থানা এলাকার জন গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ৫৬টিসহ মোট ৭৩টি তথ্য বা অভিযোগ বক্স স্থাপন করা হয়।  

এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে এসব তথ্য বা অভিযোগ বক্সে মোট ৮৬টি অভিযোগ পাওয়া গেছে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৯
এমএস/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।