প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট রোববার (২৭ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ১০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ১০ মিনিট) বাকু হায়দার আলিয়েভ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান আজারবাইজানের শিক্ষামন্ত্রী জেইহুন আজিজ বেরামভ।
সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে ফ্লাইটটির।
১২০টি উন্নয়নশীল দেশের জোট-নিরপেক্ষ ফোরাম ন্যামের দুই দিনের সম্মেলনটি গত ২৫ অক্টোবর আজারবাইজানের রাজধানী বাকুর কংগ্রেস সেন্টারে শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্যান্য সদস্য দেশগুলোর সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা এতে যোগ দেন।
২৫ অক্টোবর সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী ‘সমসাময়িক বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সমন্বিত ও পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে বান্দুং নীতিমালা সমুন্নত রাখা’র বিষয়ে এক সাধারণ আলোচনায় বক্তৃতা করেন। সেখানে তিনি রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের ভূমিকা তুলে ধরেন এবং এ সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তার কথা জোর দিয়ে বলেন।
২৬ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন, প্রতিনিধিদলের প্রধানদের সঙ্গে ওয়ার্কিং লাঞ্চ ও সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। পরে সন্ধ্যায় তিনি হায়দার আলিয়েভ সেন্টারে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের দেওয়া সরকারি সংবর্ধনায় যোগ দেন। এছাড়া তিনি হিলটন বাকুতে আজারবাইজানের দূত হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দেওয়া নৈশভোজেও অংশ নেন।
সম্মেলনের ফাঁকে শেখ হাসিনা ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি, আলজেরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট আবদেল কাদের বেনসালাহ ও ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল-মালিকিসহ বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এদিন প্রবাসী বাংলাদেশিরা বাকুতে প্রধানমন্ত্রীর আবাসস্থল হোটেল হিলটন বাকুতে তার সঙ্গে সাক্ষাৎও করেন।
গত ২৪ অক্টোবর ঢাকা থেকে বাকুর উদ্দেশে যাত্রা করেন প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৯
এমইউএম/এইচএ