ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৯
পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

ঢাকা: হকার্সদের ব্যবস্থাপনায় জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন এবং পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য।

 

তিনি বলেন, হকার্স ভাইরা আপনাদের মত আমিও একজন হকার। আমি হক কথার ফেরিওয়ালা। এজন্যই আমি আপনাদের সঙ্গে এ আন্দোলনে আছি। হকারদের পুনর্বাসনের দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু উচ্ছেদের দায়িত্ব সরকারের নেই। এ দায়িত্ব কাউকে দেওয়া হয় নাই।

পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত সংবিধানে বলা আছে, আপনার নাম হকার না, আপনার নাম সম্মানিত নাগরিক। তাই এ সম্মানিত নাগরিকদের অসম্মানিত করবেন না। অন্যায়, অত্যাচার ও গ্রেফতার বন্ধ করেন। তারা ফুটপাতের এক তৃতীয়াংশ জায়গায় ব্যবসা করবে শৃঙ্খলার সহিত।  

সমাবেশে হকার্স ইউনিয়নের নেতারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হকার্সদের পুনর্বাসন পর্যন্ত ফুটপাতে ব্যবসা করার নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার সারাদিন এবং অন্য পাঁচ দিন বিকেল ৩টার পরে ফুটপাতে হকারদের বসার জন্য বলেছেন। কিন্তু বর্তমান সিটি করপোরেশন ও প্রশাসনের কিছু লোকজন প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা অমান্য করে হকার্সদের ফুটপাতে বসতে দিচ্ছেন না।  

তারা বলেন, আমরা নিজেদের সামান্য পুঁজি দিয়ে ব্যবসা করে পরিবার-পরিজন নিয়ে ডাল, ভাত খাই। আমরা মাদকের ব্যবসা করি না, অবৈধ কোনো ব্যবসাও করি না। তাহলে কেন আজকে আমাদের পেটে লাথি মারতে একটি মহল ওঠে পড়ে লেগেছে।  

ঢাকা শহরের ফুটপাতে চার লাখ হকার ব্যবসা করে। এ চার লাখ লোকের সঙ্গে ২০ লাখ মানুষের খাওয়া, থাকা, পড়া জড়িত। তাই এ ২০ লাখ পরিবারের কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক আমাদের ব্যবসা করার সুযোগ করে দেওয়া হোক।  

নেতারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা দশ দফা দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছি। অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে চালিয়ে যাবো। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা ফিরে যাবো না।

আমরা সরকারের কাছে দাবি করছি, হকার্সদের কার্ড দেন। আমাদের কাছ থেকে দৈনিক, সাপ্তাহিক বা মাসিক ভিত্তিতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা সরকারি কোষাগারে আমরা জমা দেবো। সেই টাকার সঙ্গে সরকার আরও কিছু টাকা ভর্তুকি দিলে হকার্সদের পুনর্বাসন করা সম্ভব।  

হকার্স ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল হাসিম কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, কার্যকরী সভাপতি শফিকুল ইসলাম শিমুল, সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার হায়াত, হকার্স নেতা নাসির, মোহাম্মদ রফিক প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৯
আরকেআর/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।