ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সিদ্ধিরগঞ্জে নারী পাচার চক্রের সদস্য গ্রেফতার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৯
সিদ্ধিরগঞ্জে নারী পাচার চক্রের সদস্য গ্রেফতার

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে নারী পাচারকারী চক্রের এক নারী সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় পাচার চক্রের হাতে আটকে থাকা তিন নারীকে উদ্ধার করে পুলিশ।

পরে উদ্ধার হওয়া নারী ময়না আক্তারের বড় বোন নাজমা আক্তার (৩৭) বাদী হয়ে চক্রের নারী সদস্য আটক জেবাকে প্রধান করে তিন জনের নাম উল্লেখ এবং ৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ঢাকার পল্টনস্থ নিরুপম ইন্টারন্যাশনাল নামক ট্রাভেলস কোম্পানির ম্যানেজার মুরাদ (৫৪) ও তার সহযোগী শাহাদত (৫৩)।

এর আগে সোমবার (২৮ অক্টোবর) মধ্যরাতে জালকুড়ি উত্তরপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে জেবাকে গ্রেফতার করা হয়।

এসময় বিদেশে পাচার করার উদ্দেশ্যে তার ভাড়া করা বাসায় আটকে রাখা তিন নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

গ্রেফতার জেবা (৪৫) ঢাকার কদমতলী থানার মুরাদপুর মাদ্রাসা রোড এলাকার ২২৭ নম্বর বাড়ির ফারুক হোসেনের স্ত্রী।  

উদ্ধার হওয়া তিন নারী হলেন- সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর থানার টেপিরকোনা গ্রামের মৃত ছায়েদ আলির মেয়ে ময়না আক্তার (১৭), সিলেট জেলার জকিগঞ্জ থানার দক্ষিণ বিপক (মাসুমবাজার) এলাকার হামিদ আলির মেয়ে কুটিনা (১৯) ও তার ছোট বোন জাহেদা (১৮)।

মামলার বাদী নাজমা আক্তার বলেন, মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ী থানার হাসাইল বানারি ইউনিয়নের আবদুল সাত্তারের ভাড়া বাড়ি থেকে গত ১৮ আগস্ট বিকেলে ময়না নিখোঁজ হয়। কোথাও খুঁজে করে না পেয়ে টঙ্গিবাড়ী থানায় জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করি। এরপর গত ২৮ অক্টোবর সকালে মোবাইল ফোনে ময়না তার অবস্থান জানায়। খবর পেয়ে রাত ১০টায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হাজির হয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানাই। তাৎক্ষণিক পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে আমার ছোট বোন ময়নাসহ তিন জনকে উদ্ধার করে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, জেবা নিরুপম ইন্টারন্যাশনাল নামক ট্রাভেলস কোম্পানির হয়ে কাজ করে। তাদের একটি সংঘবদ্ধ চক্র রয়েছে। চক্রটি দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসহায়, গরীব-দুঃখী পরিবারের নারীদেরকে ফুসলিয়ে বেশি বেতনে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে আসে।  

‘তাদের এনে জেবার ভাড়া বাসায় আটকে রেখে সময়-সুযোগমতো বিদেশে পাচার করে দেয় এ চক্রটি। ’ 

মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ০৬৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৯
এসএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।