বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ‘হিউম্যান এম্পাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড অ্যাটেনিং সাস্টেনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল ইন বাংলাদেশ: দ্য কেসেস অব উইমেন অ্যান্ড মার্জিনাল কমিউনিটি’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ আহ্বান জানান। মিরপুর সেনানিবাসে অবস্থিত বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে (বিইউপি) সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
স্পিকার বলেন, দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীদের পিছিয়ে রেখে প্রকৃত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জন সম্ভব নয়। দারিদ্র্যের দুষ্ট বৃত্ত থেকে বের করে আনতে হবে নারীদের। তবেই, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন সাধিত হওয়ার পাশাপাশি প্রবৃদ্ধি অর্জন হবে। সেই সঙ্গে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য ২০৩০ এর স্লোগান 'কেউ পিছিয়ে থাকবে না' এই উদ্দেশ্য পূরণ হবে।
স্পিকার আরও বলেন, বিশ্বায়নের এ যুগে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরাই পরিবর্তনের রূপকার। জনগণের জীবনমানের পরিবর্তন আনতে নতুন প্রজন্মকে তাদের সৃজনশীল মেধা ও জ্ঞান কাজে লাগাতে হবে।
আজকের মেধাবী যুবশক্তি সমাজে বয়ে আনতে পারে ইতিবাচক পরিবর্তন। বিশ্বের যে কোনো ঘটনা এখন আর ভৌগোলিক সীমারেখায় আবদ্ধ নয়।
তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বে যে কোনো ঘটনাই সীমান্তের সীমা ছাড়িয়ে মুহূর্তের মধ্যে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত ছুঁয়ে যায়। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব, শরনার্থী সমস্যা, বৈষম্য ও অসমতা- এ সব বিষয় এখন বৈশ্বিক সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এ সব সমস্যা মোকাবিলায় প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সম্মিলিত প্রয়াস। এক্ষেত্রে তরুণ প্রজন্মকে মেধার স্বাক্ষর রাখতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন বিস্ময়। সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ও এসডিজির লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকার নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নারীর ক্ষমতায়ন ও এসডিজি লক্ষ্য পূরণে বর্তমান সরকার জেন্ডার রেসপন্সিভ বাজেট প্রণয়ন করছে।
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) প্রতিষ্ঠার পর থেকেই মেধা, জ্ঞান ও সৃজনশীলতা চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে উল্লেখ করে স্পিকার এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বাঙ্গীন সফলতা কামনা করেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিইউপির উপাচার্য মেজর জেনারেল মো. এমদাদ উল বারী ও বিইউপির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এম আবুল কাশেম মজুমদার। এছাড়া, প্রবন্ধ বক্তা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মনিরুল ইসলাম খান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৯
এসকে/এফএম/