নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় জানায়, ‘ঢাকা-লক্ষ্মীপুর প্রান্তে মেঘনা নদী ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নাব্যতা উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ নেওয়া হবে। বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী ও মেঘনা (লোয়ার) নদীর ওপর দিয়ে ঢাকা থেকে লক্ষ্মীপুর পর্যন্ত নৌপথের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৪০ কিলোমিটার।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ভোলা নাথ দে বাংলানিউজকে বলেন, নৌপথে প্রতিনিয়তই যাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে। এই পথে যাত্রা আরামদায়কও বটে। লক্ষ্মীপুর-চাঁদপুরের যাত্রীরা সড়কপথের চেয়ে নৌপথেই বেশি চলাচল করেন। স্থানীয় জনগণের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে ১৪০ কিলোমিটার নৌপথ খনন করবো। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে ঢাকা থেকে চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুরের দূরত্ব দুই ঘণ্টা কমে আসবে।
জানা যায়, বুড়িগঙ্গা ও ধলেশ্বরী নদীতে বর্তমানে নাব্যতা সংকট নেই। কেবল মেঘনা (লোয়ার) নদীতে লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরীর হাট সংলগ্ন এলাকার কিছু স্থানে গভীরতা কম। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার শাকচর ইউনিয়নের চর রমণীসোহন এলাকায় সৃষ্ট চরের কারণে এ জেলা থেকে সরাসরি ভোলা বা ঢাকার দিকে নৌচলাচল ব্যাহত হচ্ছে। চরের দক্ষিণ দিকের চ্যানেলে কিছুটা কম গভীরতার অঞ্চল খননের মাধ্যমে সম্পূর্ণ নৌপথটি চলাচলের জন্য উপযোগী করা সম্ভব।
চলতি সময় থেকে ২০২৩ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। এ প্রকল্পের আওতায় ১৫টি প্রকৌশল সরঞ্জামাদি কেনাসহ ১৮ লাখ ঘনমিটারের খনন কাজ করা হবে। এসময় ১৬ লাখ ঘনমিটার মেইনটেন্সে ড্রেজিং, নেভিগেশনাল এইড স্থাপন, কম্পার্টমেন্ট ও খনন সহায়ক ডাইক নির্মাণ করা হবে।
ড্রেজিংয়ে সহায়তার জন্য তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এসব প্রকল্প থেকে ৩০টি নতুন ড্রেজার সংগ্রহ করা হয়েছে। আরও ৩৫টি ড্রেজার আগামী তিন বছরে যুক্ত হবে। বেসরকারি ড্রেজারের পাশাপাশি সরকারি ড্রেজারেও নৌপথ খনন করা হবে। কমপক্ষে ৫০ শতাংশ ড্রেজিং কাজ সরকারি ড্রেজারের মাধ্যমে, বাকি কাজ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে করা হবে। ৬০-৬৫ বছর আগে মৃত চ্যানেলটি ড্রেজিং করার পর প্রতি বছর ৪০ শতাংশ ভরাট হয়। তাই, প্রতি বছর সংরক্ষণ ড্রেজিং বাবদ ২০ কিলোমিটার রুটে ১৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে। ড্রেজিংয়ে প্রতি ঘনমিটারে ব্যয় হবে ১৯০ টাকা। প্রকল্পের আওতায় দেশি পরামর্শক বাবদ ৫৫ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। পরামর্শকদের মধ্যে টিম লিডারের মাসিক সম্মানী নির্ধারণ করা হয়েছে চার লাখ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৯
এমআইএস/একে