শনিবার (০২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নগর ভবনের সিটি হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।
অনুষ্ঠানে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, সিটি সেন্টারের নির্মাণকাজ শেষ হলে এটি হবে বিশাল একটি কাজ।
মেয়র আরও বলেন, সোনাদীঘি পৌর মার্কেট ব্যবসায়ীদের সিটি সেন্টারে স্থানান্তর করা হলো। ব্যবসায়ীরা যত দ্রুত দোকান সরিয়ে সিটি সেন্টারে যাবেন, তত তাড়াতাড়ি বাকি কাজ শেষ হবে। এ সময় সিটি সেন্টারের বাকি কাজ শেষ করতে সকলের সহযোগিতা করেন মেয়র লিটন।
অনুষ্ঠনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এনা প্রপার্টিজ লি. এর চেয়ারম্যান ও রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মো. এনামুল হক বলেন, রাজশাহীতে দৃষ্টিনন্দন যে সিটি সেন্টার নির্মাণ হচ্ছে, তার সব কৃতিত্ব মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের। কারণ তার সাহসী পদক্ষেপের কারণেই কেবল এটি সম্ভব হয়েছে। এই সিটি সেন্টার হবে বাংলাদেশের মডেল। এখানে চার তারকা মানের হোটেল করা হবে। এই ভবনে থাকবে তারকা মানের সর্বাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা।
পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের আওতায় ১৬ তলা বিশিষ্ট সিটি সেন্টারের নির্মাণ কাজ ২০২০ সালের শেষ হলে স্থাপনাটি হবে বাংলাদেশের পাইওনিয়ার। এই সেন্টারে যেসব ব্যবসায়ীরা দোকান পাচ্ছেন তাদের অভিনন্দন জানান এবং বাকি কাজ শেষ করতে সকলের সহযোগিতা কামন করেন ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক।
অনুষ্ঠানে সিটি সেন্টার নিয়ে প্রেজেন্ট্রেশন উপস্থাপন করেন রাসিকের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক। রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাওগাতুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু ও এনা প্রপার্টিজ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তহুরা হক।
পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় মহানগরীর সোনাদীঘি মোড়ে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ১৬তলা ‘সিটি সেন্টার’ নির্মাণ করছে এনা প্রপার্টিজ। মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন প্রথম মেয়াদে দায়িত্বে থাকাকালে ২০০৯ সালে এর নির্মাণকাজ শুরু হয়। তবে ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সিটি সেন্টারের কাজ বন্ধ ছিল। ২০১৮ সালের ৫ অক্টোবর দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর সিটি সেন্টারের নির্মাণ কাজে শেষ করার উদ্যোগ নেন মেয়র। এরপরই গতিশীল হয় সিটি সেন্টারের নির্মাণ কাজ। #
বাংলাদেশ সময়: ২২১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৯
এসএস/এমএমইউ