সোমবার (৪ নভেম্বর) ঘটনার পরদিনও শিশুটিকে জীবিত উদ্ধারের আশায় সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। তাদের সঙ্গে উদ্ধার কাজে স্থানীয়রাও অংশ নিয়েছেন।
ওয়াজিদের বাবা রুবেল জানান, তার সন্তান ধসে পড়া ভবনের নিচতলায় আরবি পড়তে গিয়েছিল। এসময়, আকস্মিক ধসে ভেতরেই আটকা পড়ে ওয়াজিদ। তার সঙ্গে ঘটনাস্থলে ওই সময় স্বপ্না নামের আরেক শিশুও আরবি পড়ছিল।
স্বপ্না জানায়, সে দৌড়ে বের হয়ে গেলেও ওয়াজিদ ভেতরেই রয়ে যায়। রাত ১০টায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্বপ্নার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী উদ্ধার অভিযান জোরালো করে। যে জায়গাটিতে তারা আরবি পড়ছিল সেই জায়গায় খোঁড়ার চেষ্টা চালিয়ে যান তারা।
রোববার (৩ নভেম্বর) বিকেলে নগরীর মুন্সীবাড়ি এলাকার এইচএম ম্যানশন ভবনটি ধসে পড়ে। ভবনটির মালিক মৃত আব্দুর রউফ মিয়ার চার সন্তান।
স্থানীয়রা জানান, ভবনটি মূলত একটি ডোবার উপর নির্মাণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে মালিককে বেশ কয়েকবার সতর্কও করেছেন তারা। তবে সয়েল টেস্ট ও রাজউকের অনুমতি ছাড়াই নির্মিত হয় ভবনটি। হেলে পড়ার পর দেখা যায়, ভবনটির ফাউন্ডেশনও ছিল না।
সম্প্রতি নির্মাণাধীন ভবনটির চারতলার ছাদে ঢালাইয়ের কাজ শুরু হওয়ার পর আর লোড নিতে পারেনি সেটি। তাই ধসে পড়েছে বলে ধারণা ফায়ার সার্ভিসের।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আরেফিন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছি। তবে এখনো ভেতরে কারও অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো শেষ পর্যন্ত।
ইউএনও নাহিদা বারিক জানান, যতক্ষণ পর্যন্ত নিশ্চিত না হওয়া যাবে যে সবাই উদ্ধার হয়েছে ততক্ষণ পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৯
কেএসডি/এএ