মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার দক্ষিণ বিশিউড়া ইউনিয়নের ষোলপাই গ্রামে ভিক্ষুকদের ভিটেমাটি উদ্ধার অভিযান চালান তিনি।
দুই বছর আগে সরকার থেকে হাছেন ও জয় বানু থাকার জন্য দুই কাঠা (২০ শতাংশ) জমি বন্দোবস্ত পান।
এদিকে, বসতভিটের অধিকার নিয়ে ঘর বাঁধতে গেলে বৃদ্ধাদের ভয়ভীতি দেখানোর পাশাপাশি বাড়ির সব সদস্যদের নিয়ে লাঞ্ছিত করে আসছিলেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতে হাছেন মানুষের পাশে পাশে ঘুরেন আর পথেঘাটে রাত্রিযাপন করেন। এরইমধ্যে কষ্ট সহ্য করতে না পেরে মারা যান জয় বানু!
বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে হেকিমকে জমি ফিরিয়ে দিতে এবং অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেন উপজেলার সহকারী কমিশনার। এতেও কাজ হয়নি। বরঞ্চ তারা তাকে ভয়ভীতি দেখানোর পরিমাণ বাড়িয়ে দেন।
পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে গিয়ে বসতভিটে উদ্ধার করা হয়। এর আগে প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ি ছেড়ে হেকিম ও তার পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে এসিল্যান্ড বুলবুল আহমেদ জানান, বৃদ্ধার হাতে ঘর বানানোর মতো টাকা-পয়সা নেই। সেক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাছেন বাংলানিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর এসিল্যান্ডের ভালো করুন আল্লাহ। শেষ বয়সে সড়কে পড়ে মরার চেয়ে নিজের ঘরের ভেতর যেন মরতে পারি।
উদ্ধার অভিযানে নেত্রকোনা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নাজমুল হুদা, বিল্লাল হোসেনসহ পুলিশ সদস্যরা অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৯
ইএআর/আরবি/