বৃহস্পতিবার (০৭ নভেম্বর) মঈনুদ্দিন খান বাদলের মৃত্যুতে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। একাদশ সংসদের পঞ্চম অধিবেশনের শুরুতে এই শোক প্রস্তাব আনা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ছাত্ররাজনীতিতে মঈনুদ্দিন সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান রয়েছে। তিনি সবসময় অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন। শান্তি সমৃদ্ধিতে বিশ্বাসী ছিলেন। পার্লামেন্টে তিনি যখন ভাষণ দিতেন, প্রত্যেকটি ভাষণেই মনে একটা দাগ কেটে যেত। অত্যন্ত বলিষ্ঠ ভাবেই তিনি কথা বলতেন। এলাকার উন্নয়নের জন্য সবসময় তিনি সক্রিয় ছিলেন। তার মৃত্যুতে ওই এলাকাবাসীর ক্ষতি হয়েছে। একইসঙ্গে রাজনৈতিক অঙ্গনে আমরা যারা স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন করেছি, আমরা যারা গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছি, এমনকি আয়ুববিরোধী আন্দোলন থেকে ছয় দফা আন্দোলন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ- প্রতিটি ক্ষেতেই তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল।
‘তিনি ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি জাসদে যোগ দেন। আমরা যখন ঐক্যজোট গঠন করি, আমাদের ঐক্যজোটের সঙ্গে সক্রিয় ছিলেন। কাজেই আন্দোলন-সংগ্রামের রাজপথে এবং এই সংসদে তার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনা প্রজ্ঞায় তিনি যথেষ্ট শক্তিশালী ভূমিকা রেখেছেন। তার মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনে একটা বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি হলো। ’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই দিন আগেও আমি তার খবর নিয়েছি। সবসময় তার শরীর-স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতাম। তিনি অসুস্থ ছিলেন। তার স্ত্রী খবর দিতেন তিনি কী অবস্থায় আছেন। দুই দিন আগে তার কাছ থেকে মেসেজ পাই। কিন্তু আজ সকালে যখন খবর পেলাম, একটা বিরাট ধাক্কা লেগে গিয়েছিল। কারণ এটা আমি ভাবতেই পারিনি যে তিনি এভাবে মৃত্যুবরণ করবেন। আজকেও মৃত্যুর খবর পেয়ে তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলি এবং তিনি এ কথাই বলছিলেন, বুবু তিনি তো চাচ্ছিলেন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে পার্লামেন্টে গিয়ে কথা বলবেন। আমাদের দুর্ভাগ্য যে তার সেই বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর আর শুনতে পাব না। চলার পথে অনেক আপনজনকে হারিয়েছি, অনেকে হারিয়ে যাচ্ছে। অবশ্য সময়ের সঙ্গে সবাইকে একদিন চলে যেতে হবে। আমরা সবাই খুব আহত। তার মরদেহ আনতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কর্মকর্তা পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৯
এসকে/টিএ