শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা সার্কিট হাউজে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ফেনী জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান।
সভায় পুলিশ বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ, পানি উন্নয়ন, ত্রাণ বিভাগ, কৃষি ও বিদ্যুৎ বিভাগসহ সব বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সব বিভাগের সমন্বয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সতর্কতামূলক প্রস্তুতির বিষয়ে আলোচনা হয়।
সভায় জানানো হয়, সোনাগাজীর উপকূলীয় এলাকায় তিনটি মেডিক্যাল টিমসহ জেলায় মোট ৭৬টি মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজনীয় খাবার স্যালাইন, ৫ হাজার মেট্রিক টন চাল, ৬শ মেট্রিক টন গম, চিড়া, মুড়ি গুড়সহ বিশুদ্ধ পানির মজুদ রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে রেড ক্রিসেন্ট, স্বেচ্ছাসেবক, সিপিবি, রোভার, আনসার বিডিপির সদস্যরা। পরিস্থিতি বিবেচনায় উপকূলীয় এলাকার মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আনা হবে। পাশাপাশি সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে তাদের কর্মস্থলে থাকতে বলা হয়েছে।
সভায় আরও বলা হয়, উপকূলীয় এলাকার আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে উপজেলা প্রশাসন সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখবে। মানুষের পাশাপাশি গৃহপালিত পশু ও খামারের পশুদেরও নিরাপদ স্থানে নেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে উপজেলা প্রশাসনের। দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে কৃষি বিভাগ, মৎস বিভাগসহ মোকাবিলায় সব বিভাগ কাজ করবেও বলে জানানো হয়।
সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোছা. সুমনী চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. গোলাম জাকারিয়া, ফেনী পল্লী বিদ্যুত সমিতির জিএম মো. আখতার হোসেন, সমাজ সেবা বিভাগের উপ-পরিচালক মোস্তফা মোস্তাকুর রহিম খান, ফেনী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান, আবদুর রহমান বিকম, ফেনী পৌরসভার মেয়র হাজী আলা উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
ফেনী উপকূলীয় অঞ্চল সোনাগাজীতে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র প্রভাবে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। শনিবার বিকেল নাগাদ এটি বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৯
এসএইচডি/ওএইচ/