রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার লড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ননী গোপাল ওই গ্রামের মৃত নীল কমল মণ্ডলের ছেলে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, দুপুরে বসতঘরের উপর একটি বড় আকারের চাম্বল গাছ ভেঙে পড়লে ওই গাছের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই ননী গোপালের মৃত্যু হয়।
নাজিরপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতা মো. ইস্রাফিল বাংলানিউজকে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, নাজিরপুর উপজেলার ৯ নম্বর কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. হাসানাত ডালিম বাংলানিউজকে জানান, ‘বুলবুল’র তাণ্ডবের পর উপজেলার মধ্য কলারদোয়ানিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের বসতঘরের উপর চাম্বল গাছ ভেঙে পড়ে বসতঘরটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় গাছে নিচে চাপা পড়ে নজরুল ইসলামের মেয়ে সুমীর (৮) বাম পা ভেঙে যায় ও ছেলে নাসির (১৬) গুরুতর আহত হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার দ্বিগ বিজয় হাজরা বাংলানিউজকে জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে নাজিরপুর উপজেলার কৃষকদের প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে জেলার প্রায় সব স্থানে গত দুইদিন ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় সবার সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে না। তাই এখনই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৯
আরআইএস/