মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে এই উৎসব বুধবার (১৩ নভেম্বর) ভোরে শেষ হয়।
মাধবপুর শিববাজার ও আদমপুর কালচারাল কমপ্লেক্সে কৃষ্ণের বাল্যলীলা অনুসরণে রাখাল নৃত্যে মণিপুরি সম্প্রদায়ের দেড় শতাধিক শিশু-কিশোর অংশ নেয়।
এবারের রাস উৎসবের প্রধান আকর্ষণ ছিল আদমপুর মণিপুর কালচারাল সেন্টারে ভারতীয় মণিপুরিদের বিভিন্ন পরিবেশনা। স্থানীয় মণিপুরিদের পাশাপাশি ভারতে মণিপুর রাজ্যের মনিউড ক্লাবের শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দর্শকদের মুগ্ধ করে। এরপর রাতে চারটিমণ্ডপে রাধা-কৃষ্ণের প্রেমলীলা নিয়ে প্রায় ২০০ শিল্পীর পরিবেশনায় আকর্ষণীয় রাসলীলা উপভোগ করেছেন হাজারো দর্শণার্থী। শুধুমাত্র নিজস্ব আচার নয়, সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন আর অসাম্প্রদায়িক প্রতীক হয়ে ওঠেছে মণিপুরিদের এই ধর্মীয় উৎসব।
ভারতের মণিপুরে মনিউড ক্লাবের সদস্য ও নৃত্য পরিবেশনকারী বিল্লা ঙাথেম বাংলানিউজকে বলেন, আমি প্রথমবার বাংলাদেশে এসেছি। এখানকার মানুষের আগ্রহে দীর্ঘদিন থেকে আমরা ছিলাম। আমরাও চেয়েছিলাম আমাদের মণিপুরিদের ঐতিহ্যকে নতুন করে এ বাংলার মানুষের কাছে তুলে ধরতে। এবার সে সুযোগ পেয়ে আমি কৃতার্থ হয়েছি।
আদমপুর রাস উদযাপন পরিষদের কবি একে শেরাম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা এবারের রাসে অর্ধ শতাধিক ভারতীয় মণিপুরিদের এখানে আমন্ত্রণ করেছি। মণিপুরিদের এই উৎসবে সব ধর্ম বর্ণ ও জাতের মানুষকে ব্যতিক্রমী পরিবেশনা আকর্ষণ করতে পেরেছে।
মহারাস উদযাপন কমিটির মাধবপুরের সাধারণ সম্পাদক শ্যাম সিংহ বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিবার আমাদের আয়োজন মানুষের মন কাড়ে। এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত মণিপুরি সম্প্রদায়ের বৃহৎ এ রাস উৎসবে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা বাড়ানো সম্ভব হলে আমরা আরো ব্যাপকভাবে আমাদের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য মানুষের কাছে তুলে ধরতে পারতাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৯
এনটি