শনিবার (১৬ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পীযুষ কান্তি আচার্যের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন- সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আব্দুন নূর, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম সরকার, জেলা জাসদের সভাপতি আক্তার হোসেন, নারী সংগঠক নন্দিতা গুহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী, জেলা নাগরিক ফোরামের সিনিয়র সহ সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া শাহিন, নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহেদুল ইসলাম, ওয়ার্কার সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কমরেড নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাংঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন, জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রতন কান্তি দত্ত, খেলাঘর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শাখার সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেন। এখানে যতগুলো আন্তঃনগর ট্রেন যাত্রাবিরতি করে যাত্রীর তুলনায় সেটি অপ্রতুল। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন অন্তঃনগর ট্রেনে জেলাবাসী যাত্রা করে। কিন্তু চলতি বছরের শুরুর দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকাগামী বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেনের অনেক আসন কেটে নেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এ কারণে যাত্রীদের দুভোর্গ দিন দিন বাড়ছে।
এসময় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া এক্সপ্রেস’ নামে একটি বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন চালু করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তারা। পাশাপাশি চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস ও কালনী এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতি দেওয়াসহ অন্যান্য আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর আসন বৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
মানববন্ধন শেষে জেলা নাগরিক ফোরামের উদ্যোগের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁনের কাছে জমা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৯
আরএ