শনিবার (১৬ নভেম্বর) উপজেলার আকোটেরচর ইউনিয়নের রমজান মোল্লার ডাঙ্গী গ্রাম থেকে স্বপ্নাকে গ্রেফতার করা হয়। তানিম একই গ্রামের ইব্রাহীম মোল্লা ওরফে রেজাউলের ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ নভেম্বর সকালে শরবতের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে তানিমকে পান করান সৎ মা স্বপ্না। শরবত খেয়ে সেময় তানিম অসুস্থ হয়ে পড়লে দাদা আক্কাছ মোল্লা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শিশুটিকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বাড়িতে নিয়ে আসার পর আবারও অসুস্থ হয়ে পড়লে তানিমকে সদরপুর হাসপাতালে নিলে তাকে ফরিদপুর শিশু হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে থেকে ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়। পরে ঢামেকে নেওয়ার পথেই তানিমের মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, প্রায় দুই বছর আগে প্রথম স্ত্রীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের সময় ইব্রাহীম মোল্লা প্রথম স্ত্রীর গর্ভে জন্ম নেওয়া সন্তান তানিমকে রেখে দেন। এর কিছুদিন পরে একই উপজেলার ভাষানচর ইউনিয়নের পবনখার ডাঙ্গী গ্রামের সরোফত উল্লাহ খানের মেয়ে স্বপ্নাকে বিয়ে করেন ইব্রাহীম। স্বপ্নার গর্ভেও এক কন্যা শিশুর জন্ম হয়।
তানিমের বাবা ইব্রাহিম বাংলানিউজকে জানান, বিয়ের পর থেকেই প্রথম পক্ষের ছেলে তানিমকে সহ্য করতে পারতেন না তার দ্বিতীয় স্ত্রী স্বপ্না। এর জের ধরে সবার অজান্তে ১২ নভেম্বর দুপুরে তানিমকে বিষ মেশানো শরবত পান করিয়ে হত্যা করে সৎ মা স্বপ্না।
সদরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল খায়ের বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা ইব্রাহীম মোল্লা বাদী হয়ে স্ত্রী স্বপ্নার নামে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত স্বপ্নাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৯
কেএআর/এসআরএস