ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

রামুর কানা রাজার সুড়ঙ্গ দিয়ে শুরু প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৯
রামুর কানা রাজার সুড়ঙ্গ দিয়ে শুরু প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ

কক্সবাজার: কক্সবাজারের চার উপজেলায় প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ ও অনুসন্ধান কাজ শুরু হয়েছে। রামু, উখিয়া, মহেশখালী ও কক্সবাজার সদর উপজেলায় মাসব্যাপী এ কার্যক্রম চলবে।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের উখিয়ারঘোনা এলাকায় ঐতিহাসিক কানা রাজার সুড়ঙ্গ বা আঁধার মানিক গুহা চত্বরে এ কাজের উদ্বোধন করা হয়।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের উদ্যোগে এ জরিপ ও অনুসন্ধান কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে।

 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম-সচিব মো. জাকির হোসেন। তিনি বলেন, ইতিহাস-ঐতিহ্যে ভরপুর পর্যটন শহর কক্সবাজারের রামু উপজেলা হাজার বছরের ঐতিহ্যসমৃদ্ধ জনপদ। প্রাকৃতিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন এবং রাজা-বাদশাহদের আবাসস্থল হওয়ায় এ উপজেলার গুরুত্ব ও পরিচিতি দেশজুড়ে।  

তিনি বলেন, রামুর অনেক এলাকার নামের সঙ্গে মিশে আছে সমৃদ্ধ ইতিহাস। ঐতিহাসিক এসব নিদর্শন এখনো রামুতে দৃশ্যমান। কানা রাজার সুড়ঙ্গ যার অন্যতম। ইতিহাস-ঐতিহ্যের নিদর্শন সংরক্ষণের মধ্য দিয়ে দেশের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এ সর্ম্পকে জানাতে হবে।

রামুর কানা রাজার সুড়ঙ্গ যথাযথ সংরক্ষণের মাধ্যমে এর ইতিহাস তুলে ধরতে পারলে এখানে জ্ঞানপিপাসুদের পাশাপাশি পর্যটকদের আকর্ষণও বাড়বে বলে মনে করেন যুগ্ম-সচিব।

এ সময় তিনি কানা রাজার সুড়ঙ্গে যাতায়াতের সড়ক পাকা করার আশ্বাস দেন এবং কক্সবাজারের বাদ পড়া আরও চার উপজেলায় প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ ও অনুসন্ধান কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের আহবান জানান।  

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক ড. মো. আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান, রামু সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল হক, কক্সবাজার সিভিল সোসাইটির সভাপতি ও দৈনিক রুপালী সৈকত পত্রিকার সম্পাদক ফজলুল কাদের, সাধারণ সম্পাদক আ ন ম হেলাল উদ্দিন, জেলা পরিষদের সদস্য শামসুল আলম, নুরুল হক কোম্পানি, কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ, কাউয়ারখোপ হাকিম রকিমা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ওসমান সরওয়ার মামুন, কবি এম সুলতান আহমদ মনিরী, বাঘখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা আতা-ই এলাহী, কাউয়ারখোপ হাকিম রকিমা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আবছার, উখিয়ারঘোনা সাইমুম সরওয়ার কমল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিকুর রহমান ও কক্সবাজার আর্ট ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল কবির বিবণ।  

সাংবাদিক সোয়েব সাঈদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কক্সবাজার আর্ট ক্লাবের সভাপতি তানভীর সরওয়ার রানা। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সাংবাদিক ও ছড়াকার কামাল হোসেন।  

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে রামু প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি খালেদ শহীদ, রামু উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নীতিশ বড়ুয়া, সাংবাদিক মোর্শেদুর রহমান খোকন, শাহ আলম, কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, কাউয়ারখোপ হাকিম রকিমা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ওসমান গনি ও মোস্তফা কামাল, উখিয়ারঘোনা সাইমুম সরওয়ার কমল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিজানুর রহমান, সমাজসেবক মো. আবদুল্লাহ, সাবেক ইউপি সদস্য আজিজুল হক, ছাত্রলীগ নেতা ছানা উল্লাহ বাবুল, নেজাম উদ্দিন, রাশেদ খান, কপিল উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ ও অনুসন্ধান টিমের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিল্ড অফিসার মো. শাহীন আলম, সদস্যদের মধ্যে সহকারী কাস্টোডিয়ান মো. হাফিজুর রহমান, গবেষণা সহকারী মো. ওমর ফারুক, সার্ভেয়ার চাইথোয়াই মারমা, পটারি রেকর্ডার ওমর ফারুক ও লক্ষণ দাস উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক ড. মো. আতাউর রহমানের নেতৃত্বে প্রাকজরিপ দল ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের অফিসেরচর এলাকার ঐতিহাসিক লামার পাড়া বৌদ্ধবিহার ও ক্যাপ্টেন হিরাম কক্সের ডাক বাংলো পরিদর্শন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৯
এসবি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।