সকাল থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল উদ্ধার অভিযান চালায়।
নিখোঁজ তিন শ্রমিক হলো- আসলাম (২৬), ইমদাদ (৪০) ও রাঁধুনি মান্নান (৫২)।
রোববার (১৭ নভেম্বর) সকালে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী কীর্তনখোলা-২ লঞ্চের ধাক্কায় এমভি নাড়িয়া বাল্কহেড তিন শ্রমিক নিয়ে ডুবে যায়।
উদ্ধার অভিযান শেষে গজারিয়া কোস্টগার্ডের পেটি অফিসার আব্দুস সামাদ জানান, সারাদিন খোঁজ করেও নিখোঁজ তিন শ্রমিকের সন্ধান ও বাল্কহেড চিহ্নিত করা যায়নি। ডুবে যাওয়ার সময় বাল্কহেড শ্রমিকরা ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন বলে ঘটনাস্থলসহ প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। উদ্ধার অভিযানে নারায়ণগঞ্জ এর গাগলা ফায়ার সার্ভিসের ৬ সদস্যের ডুবুরিদল অংশগ্রহণ করে। এ ঘটনায় যাত্রীবাহী লঞ্চ ও বাল্কহেড উভয়ের ভুল আছে। কেননা আইন না মেনে রাতে বাল্কহেড চলছিল এবং লঞ্চটি তীরের দিকে এসে নিজস্ব রুটের বাহিরে গিয়ে বাল্কহেডটিকে ধাক্কা দিয়েছে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকাল থেকে আবার উদ্ধার অভিযান শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত ৬টি বাল্কহেডকে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। তবে ডুবে যাওয়া এমভি নাড়িয়া এর মধ্যে নেই।
স্টেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট এম এম আসিফ জানান, এ ঘটনায় কীর্তনখোলা লঞ্চের মাস্টারকে আটক করে বিআইডাব্লিউটিএ'র (সদর ঘাট) কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমভি নাড়িয়ার মালিক রুহুল আমিন জানান, বালু বোঝাই করে গাবতলি যাচ্ছিল বাল্কহেড। কোস্টগার্ড চর হোগলা বালুরঘাট তাদের পন্টুনে নোঙর করে রাখার জন্য বলে। এরপর আজ সকালে কুয়াশার কারণে দেখতে না পেয়ে লঞ্চটির ধাক্কায় ডুবে যায় বাল্কহেড এবং নিখোঁজ হয় তিন শ্রমিক।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৯
আরএ