সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে নগরের কাশিপুর বাজার সংলগ্ন বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।
মানবধিকার কমিশন বিমানবন্দর থানা শাখার সভাপতি মুকুল মুখার্জী বলেন, মুহিমকে অযথা আটক ও হেনস্থা করেছেন এনামুল হক।
এটিকে শিশু নির্যাতনের শামিল অভিহিত করে মুকুল ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রশাসনকে পুলিশ কর্মকর্তা এনামুল হকের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান।
বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোখলেসুর রহমান বাচ্চু বাংলানিউজকে বলেন, কারাবন্দী কিশোর মুহিমের জামিন চেয়ে সোমবার আদালতে আবেদন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) শিশু আদালতে আবেদনের শুনানি হবে।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া অভিভাবকরা জানান, মুহিমকে এভাবে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার পর এখন অন্য মা-বাবারা নিজেদের সন্তানকে নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন।
মুহিমের বাবা সাইদুর রহমান হিরণ জানান, শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাড়ি সংলগ্ন মসজিদের পাশে বসেছিল তার ছেলে। এসময় সাদা পোশাকে দু’জন এসে মুহিমকে জাপটে ধরে। কিশোরটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে সাদা পোশাকধারীরা দাবি করে, মুহিম ইয়াবা ব্যবসায়ী।
জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে পুলিশ ও তার স্বজনরা এই ইয়াবার নাটক সাজিয়েছে বলে দাবি করেন হিরণ।
জানা যায়, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার পশ্চিম ইছাকাঠিতে বাড়ির সামনে থেকে মুহিম খন্দকারকে আটক করে পুলিশ। তার কাছে ১৪ পিস ইয়াবা পাওয়া গেছে এমন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
তবে ওই মামলার সাক্ষীসহ উপস্থিত সবাই জানান, পুলিশ তাৎক্ষণিক তাদের উদ্ধার করা ইয়াবা দেখাতে পারেনি। পরে বাড়ির বাগানে তল্লাশি চালিয়ে একটি ইয়াবাসহ সিগারেটের প্যাকেট পাওয়ার দাবি করেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মোখতার হোসেন বলেন, মুহিমের মামলার তদন্ত করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৯
এমএস/কেএসডি/এইচএ/