বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষনা করেন।
ফাঁসির আদেশের পাশাপাশি এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডও দিয়েছেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত মো. কাওসার বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার নাজিরপুর এলাকার শহিদের ছেলে।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার নারায়নপুর এলাকার মাহমুদা আক্তার পাখির বিয়ে হয় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত কাওসারের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকে কাওসার যৌতুকের দাবিতে পাখিকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতে থাকেন।
ঘটনার দিন ২০১১ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার দিকে তিন মাসের অন্তঃস্বত্তা মাহমুদা আক্তার পাখির (২০) ওপর নির্যাতন চালিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন স্বামী কাওসার।
এ ঘটনায় পাখির বোন ময়না বেগম বাদী হয়ে বানারীপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যে মামলায় নিহত পাখির স্বামী কাওসারকে অভিযুক্ত করে একই বছরের ৩০ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন বানারীপাড়া থানার এসআই রুস্তম আলী মৃধা।
আদালত আটজনের সাক্ষ্য নেওয়া শেষে আজ এ রায় ঘোষনা করেন বলে জানিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি ফয়েজুল হক ফয়েজ। আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৯
এমএস/এফএম