শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে যশোর নুতন উপ-শহরের সারথী মিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর জড়িত বখাটে হোসেন আলীকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নিহত আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে রজনীকে (২০) প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো ও কুপ্রস্তাব দিতো প্রতিবেশী হোসেন আলী। এরইমধ্যে কৌশলে বখাটে হোসেন আলী রজনীর কিছু ছবি ও অন্য কারোর সঙ্গে ফোনালাপ রেকর্ড করে এবং অপর একজনকে দিয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হলে সেই ফোনালাপ ও ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
সম্প্রতি এসব ঘটনা রজনী তার বাবা-মাকে জানায়। এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে বাবা রাজ্জাকের সঙ্গে হোসেনের বাকবিতণ্ডা চলছিল। একপর্যায়ে শুক্রবার ফের কথা কাটাকাটি শুরু হলে হোসেন হুমকি-ধামকি দিয়ে গালিগালাজ শুরু করে। বিষয়টি সহ্য করতে না পেরে হোসেন আলীকে একটি চড় মারেন রাজ্জাক। এতে হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে রাজ্জাকের বুকে লাথি মারলে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান। পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা রাজ্জাককে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে হাসপাতাল থেকে মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যান স্বজনরা।
স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, প্রায় তিনমাস আগে সারথী মিল এলাকার ইলেক্ট্রিশিয়ান হোসেন গোপনে মেয়েটির গোসলের ভিডিও ধারণ করে। এরপর ওই ভিডিও দেখিয়ে গত ৩ মাস ধরে ব্ল্যাকমেইল ও অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে চাপ সৃষ্টি করে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কাজল মল্লিক বাংলানিউজকে বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই রাজ্জাকের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
যশোর কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, রাজ্জাকের বাড়িতে গিয়ে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফের হাসপাতাল মর্গে নিয়ে এসেছে পুলিশ। এছাড়াও ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পেরেছি মোবাইল ফোনে ছবি তোলা নিয়ে বিরোধের কারণে আব্দুর রাজ্জাক খুন হয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত হোসেন আলী পুলিশ হেফাজতে আছে। মৃতের পরিবারের অভিযোগ পেলে মামলা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৯
ইউজি/জেডএস