ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

৩০ কিমি গতিসীমার রাস্তায় ‘স্বাধীন’ বাস চলেছে ১০০ কিমি!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৯
৩০ কিমি গতিসীমার রাস্তায় ‘স্বাধীন’ বাস চলেছে ১০০ কিমি!

মুন্সিগঞ্জ: ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে বেপরোয়া গতিতে চলাচল করে ‘স্বাধীন পরিবহন’। এ মহাসড়কে বাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। কিন্তু নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে এ মহাসড়কে বেপরোয়া গতিতে বাস চালান চালকেরা।

সম্প্রতি শ্রীনগরে বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে নয়জন নিহত হন। দুর্ঘটনার সময় বাসের গতিবেগ ছিল প্রায় ১০০ কিলোমিটার।

অথচ সেখানে গতিসীমা ছিল ৩০ কিলোমিটার। যদি বাসটি এমন বেপরোয়া গতিতে না চলতো, তবে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা নাও ঘটতে পারতো বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও হাসাড়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির টিএসআই বাংলানিউজকে জানান, এ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বাসচলকের নিয়ন্ত্রণহীন গতি ও বেপরোয়া চলাচলের মনোভাব। দুর্ঘটনার সময় ‘স্বাধীন পরিবহন’ বাসের গতিবেগ ছিল প্রায় ১০০ কিলোমিটার। যেভাবে মাইক্রোবাসটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাতে এই গতিবেগ ছিল বলে ধারণা হচ্ছে। এ মহাসড়কে গাড়ির গতিবেগ নিয়ন্ত্রণে কোনো ব্যবস্থা না থাকায় কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করে না বাস চালকেরা।  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের কয়েকজন বাস চালক বাংলানিউজকে বলেন, এই ৩৫ কিলোমিটার মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে চার লেনের কাজ চলমান থাকায় অনেক পয়েন্টে একলেনে যাওয়া আসা করে গাড়ি। আইন মেনে না চলার অভ্যাস ও বেপরোয়া গতির মনোভাব এই রুটের চালকদের বেশি। আর ‘স্বাধীন পরিবহন’ বেপরোয়াভাবে এ রুটে চলাচল করে।

ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল বাসেদ বাংলানিউজকে জানান, মাইক্রোবাসটি সড়কের বাম পাশ দিয়েই চলছিল। যাত্রীবাহী বাসটিই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের উল্টোপাশে এসে মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দেয়। এ থেকে বোঝা যায় বাসচালকের গাফিলতি ছিল। দুর্ঘটনার স্থলে এক লেনে উভয়মুখী যাতায়াতের সাময়িক ব্যবস্থা রাখা ছিল অনেকদিন ধরে। সেখানে গাড়ি চালানো উচিত সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটার বেগে।  

উল্লেখ্য, শুক্রবার (২২ নভেম্বর) কাবিনের উদ্দেশে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের কনকসার বাজারের কাছে বরের বাড়ি থেকে কনের বাড়ি ঢাকার কামরাঙ্গীরচর যাচ্ছিল দুইটি মাইক্রোবাস। পথিমধ্যে শ্রীনগরের ষোলঘর বাসস্ট্যান্ডের কাছে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে একটি মাইক্রোবাসের নয়জন নিহত হন।

নিহতরা হলেন- বর রুবেল বেপারীর বাবা আব্দুর রশিদ বেপারী (৭০), বোন লিজা (২৪), ভাগনী তাবাসসুম (৬) ও ভাবী রুনা (২৪), ভাবীর বোন রেনু (১২), বরের ভাতিজা তাহসান (৪), ফুফা কেরামত বেপারী (৭০), বরের প্রতিবেশি মফিজুল মোল্লা (৬৫), মাইক্রোবাস চালক বিল্লাল (৪০)।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।