গত শুক্র ও শনিবার (২২ ও ২৩ নভেম্বর) ঢাকা-গাজীপুরসহ বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে ওই ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। রোববার (২৪ নভেম্বর) সকালে গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) শামসুন্নাহার তার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
এসপি জানান, গ্রেফতার ১০ হলেন- মনির মোল্যা ওরফে মনির ওরফে মনি মোল্লা ওরফে আকুব্বর হোসেন আকু (৩৮), আলমগীর হোসেন ওরফে আলম (৪০), মো. রানু শেখ ওরফে নান্নু শেখ (৩৮), মো. সাইদুর সরদার (৪৪), বাদশা প্রামাণিক ওরফে বাবু ওরফে বাদশা বাবু (৩৮), নাজমুল (২৬), সঞ্জয় সরকার (৪০), মো. সুজন (২৪), মোসাম্মৎ ছুম্মা খাতুন (৩২) ও বিবেক পাল (৪২)।
সংবাদ সম্মেলনে শামসুন্নাহার জানান, গত ১৬ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে একদল ডাকাত শ্রীপুর উপজেলার জৈনা বাজার এলাকায় গফুর সুপার মার্কেটের নিউ দিপা জুয়েলার্স ও লক্ষ্মী জুয়েলার্সে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। তারা আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি ছুড়ে চাপাতি দিয়ে ভয় দেখিয়ে ৮০ ভরি স্বর্ণ, ৫০০ ভরি রূপা ও নগদ ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এসময় ডাকাতদের ছোড়া গুলিতে দিপা জুয়েলার্সের মালিক দেবেন্দ্র কর্মকার গুরুতর আহত হন। পরে সিসি টিভির ফুটেজ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ২২ নভেম্বর ও ২৩ নভেম্বর সিরাজগঞ্জ, পাবনা, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও গাজীপুরে অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের ওই ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় লুণ্ঠিত ৪৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ৬০০ গ্রাম রূপা ও এক লাখ ৫৬ হাজার ৩২০ টাকা। জব্দ করা হয় সাতটি ককটেল, একটি চাপাতি ও একটি মোটরসাইকেলও।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে সঞ্জয় সরকার ও বিবেক পাল স্বর্ণের ব্যবসায়ী। তারা স্বর্ণের ব্যবসার পাশাপাশি ডাকাতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আলমগীর ও তার স্ত্রী ছুম্মা এবং মনির ডাকাতির আগে দোকানগুলো র্যাকি করে যান। তাদের মধ্যে মনির কালিয়াকৈর এলাকার ভান্নারা এলাকায় এবং আলমগীর গাজীপুর সদরের হোতাপাড়া এলাকায় ভাড়া থেকে ঝুট ব্যবসা ও পোশাক কারখানার চাকরির অন্তরালে ডাকাতিতে জড়িয়ে পড়েন। মনিরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১১টি মামলা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৯
আরএস/এইচএ/