ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কলেজছাত্র শান্ত হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতার দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৯
কলেজছাত্র শান্ত হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতার দাবি

রাজশাহী: রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কদম শহর গ্রামে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে কলেজছাত্রকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার প্রতিবাদ ও আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। 

রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহীর পবা উপজেলার দামকুড়া কলেজের সামনে নিহত কলেজছাত্র হাবিব রহমান শান্তর সহপাঠী ও কলেজের শিক্ষকরা এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।  

নিহত শিক্ষার্থী শান্তর ছবি হাতে নিয়ে এ হত্যার বিচার দাবি জানানো হয়।

আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও কর্মসূচি থেকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন শিক্ষার্থীরা।  

শিক্ষার্থীরা বলেন, শান্ত ছিল মেধাবী শিক্ষার্থী। সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পেরিয়ে গেলেও এর মূল হোতাসহ আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অবিলম্বে শান্তর খুনিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।  

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দামকুড়া কলেজের সহকারী অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, প্রভাষক রেজাউল করিম, শফিকুল ইসলাম, আনোয়ারুল হক, আতাউর রহমান আব্দুর রউফ, শিক্ষার্থী শান্তর বাবা সায়েদ আলী, ছেলে টিটু ইসলাম ও টিপুসহ স্থানীয়রা মানববন্ধনে অংশ নেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কদম শহর গ্রামে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে কদম শহর এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে সাজেদুল ইসলাম সাজু (১৮) ও মাজেদুল ইসলাম মাজুর (২৫) সঙ্গে শান্ত ও তার ভাই স্বপনের দ্বন্দ্ব হয়। পরে শান্ত ও তার ভাই স্বপন বাড়ি ফেরার পথে সাজু ও মাজু তাদের পথ গতিরোধ করে। এসময় মাজুর মা মর্জিনা বেগম শান্তকে ঝাপটে ধরে থাকে এবং তারা দুই ভাই শান্ত ও স্বপনকে ছুরিকাঘাতে আহত করে।  

পরে শান্ত ও স্বপনকে আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক শান্তকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর গোদাগাড়ী থানা পুলিশ মাজুর মা মর্জিনা বেগমকে আটক করে। পরে রাতে শান্তর বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে গোদাগাড়ী থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। শান্ত দামকুড়া কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল।

রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক। তবে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা ও আসামিদের গ্রেফতারের ব্যাপারে পুলিশের কোনো অবহেলা নেই বলেও দাবি করেন ওসি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৯
এসএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।