প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও জোর দিয়েছেন এ সেতুর গুণগত মান নিশ্চিত করার উপর। সেটি মাথায় রেখে শতভাগ গুণগত মান রক্ষা করেই নির্মাণ হচ্ছে খরস্রোতা পদ্মা নদীর ওপর এই সেতু।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) পদ্মাসেতু প্রকল্প এলাকা মাওয়া ও জাজিরা পয়েন্টে গিয়ে সার্বিক কাজের অগ্রগিতর সঙ্গে গুণগত মান নিশ্চিত করার বিষটিও প্রত্যক্ষ করা গেছে। এ বিষয়টি নিজেরাই তদারক করছেন প্রকৌশলীরা।
স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে ২০২১ সালের জুনে চালু হওয়ার কথা রয়েছে এই সেতু। তবে তড়িঘড়ি করে কাজ যেন না হয় সেটিও ভাবনায় রয়েছে বলে জানালেন পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মোহাম্মদ আব্দুল কাদের।
পদ্মার উপর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘের এই সেতুর ইতোমধ্যে ২ দশমিক ৪ কিলোমিটার মূল সেতুর কাঠামো তৈরি হয়ে গেছে। বাকি কাজ শেষ হওয়া এখন কেবল সময়ের ব্যাপার বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জাজিরা পয়েন্টের ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিয়ারে বসানো স্প্যানের উপর রোডওয়ে স্ল্যাব এবং রেলওয়ে স্ল্যাবের সংযোগস্থলগুলো সিমেন্ট-ঢালাই দিয়ে সংযুক্ত করা হচ্ছিল দুপুর নাগাদ। ঢালাইয়ের মান ঠিক আছে কিনা তা মিটার দিয়ে পরীক্ষা করে দেখছিলেন ল্যাব টেকনিশিয়ান আতিয়ার রহমান।
তিনি জানান, ঢালাইয়ে সিমেন্ট, বালু, পানির মিশ্রণ সঠিক না হলে কাজের মান ঠিক থাকে না। সেজন্য গুণগত মানের উপর জোর দেওয়া হয়।
ল্যাব টেকনিশিয়ান আতিয়ার রহমান জানান, স্ল্যাম্প, টেম্পারেচার, কম্বিনেশন স্ট্রেন্থ- এসব বিষয় দেখা হয়। সঠিক পরিমাণে মিশ্রণ না থাকায় ফেরত দিয়ে আবারো সঠিকভাবে মিশ্রণ করে আনা হয়।
শুধু ল্যাব টেকনিশিয়ান আতিয়ার না, এভাবে প্রকল্প এলাকার সবাই জোর দিচ্ছেন গুণগত মান ঠিক রাখার উপর। ট্রলার বা স্পিডবোটে নদীতে ভেসে কিংবা স্থলভাগে সরেজমিনে উপস্থিত থেকে তদারক করছেন কাজের গুণগত মান।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৯
এমআইএইচ/এসএইচ